মির্জাপুরে
সরকারি সম্পত্তি আত্নসাৎ করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ শাখা হতে প্রতারনার মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন মির্জাপুর পৌর এলাকায় অবস্থিত মা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের মালিক মো. ইব্রাহিম মিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে এই বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে হাতিয়ে নেয়া টাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে টাঙ্গাইল ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন জানিয়েছেন। ইব্রাহিম মিয়া মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের মৃত আবেদ আলী মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস নির্মাণের জন্য সরকার এলএ ৫৪নং কেসের মাধ্যমে উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী মৌজার এসএ ৪২৪ নং দাগের ৩.১০একর ভূমির মধ্যে ১.৫৪ একর ভূমি অধিগ্রহন করে। অধিগ্রহনকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪০ টাকা মূল্যও নির্ধারণ করেন। কিন্ত অধিগ্রহণকৃত দাগের ওই ভূমি অর্পিত সম্পতি হওয়ায় ক্ষতিপূরনের টাকা সরকারি তহবিলে আটকে থাকে।
২০১২ সালে সরকারি নির্বাহী আদেশে ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তির আইন হলে ইব্রাহিম মিয়া ২০১৩-১৪ সালে ৯০৩(IX)-I) নং মোকাদ্দমামূলে ওই দাগে ০.৯০ একর ভূমি নিজ নামে নামজারী ও জমাভাগ করে ২০০৮ নং হোল্ডিং এ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে ওই নামজারী ও জমাভাগ মূলে ২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইল ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে ইব্রাহিম মিয়া ১.৪৮ একর ভূমির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪০ টাকা উত্তোলন করেন। ০.৯০ একর ভূমি নামজারী ও জমাভাগ করলেও তিনি বাড়তি ০.৫৮ একর ভূমির মূল্য ৩ লাখ ১২ হাজার ৭০৬ টাকা অিধিগ্রহণ শাখা থেকে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন।
এদিকে ০.৯০ একর ভূমির নামজারী ও জমাভাগ থাকলেও কিভাবে ১.৪৮ একর ভূমির ক্ষতিপূরণের টাকা ইব্রাহিম মিয়া উত্তোলন করলেন এ বিষয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার মো. সাখাওয়াত হোসেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেন বলেন, ৪২৪ নং দাগে ০.৯০ একর ভূমি ইব্রাহিম মিয়ার নামে নামজারী ও জমাভাগ ছিল। ওই নামজারী ও জমাভাগ মূলে তিনি ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করায় তার হোল্ডিং বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া নামজারী ও জমাভাগ ছাড়া ০.৫৮ একর অর্পিত সম্পত্তির ক্ষতিপূরণের সরকারি টাকা প্রতারনার মাধ্যমে উত্তোলনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টাঙ্গাইল ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল ভূমি অধিগ্রহণ শাখা কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অনিয়ম হলে অবশ্যই আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।