জঙ্গি আব্দুল্লাহর দুই সহযোগী গ্রেফতার
ঢাকা মিরপুরে র্যাবের অভিযানে নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহর দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতাকৃতরা হলো- সম্রাট মিয়া ওরফে হুরের খোঁজে (২১) ও শাহাদত হোসেন ওরফে আমির হামজা (২২)।
নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা এলাকায় অভিযান চালায় টাঙ্গাইল র্যাব সদস্যরা। মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল র্যাব -১২ সিপিসি ৩নং কোম্পানীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১২এর অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

এসময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল র্যাব -১২ সিপিসি ৩নং কোম্পানীর কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীনা রানী দাস ও সিনিয়র এ.এস.পি ছোয়াই অং ক্লু বারমা।
মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্যদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ঢাকার মিরপুরে র্যাবের নিহত আব্দুল্লাহর বাড়িতে গত ২৫ আগষ্ট বৈঠকে গ্রেফতারকৃত সম্রাট ও শাহাদত স্বশরীরে অংশগ্রহন করে।
এ সময় তারা বিভিন্ন স্থানে হামলার ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। বিশ্বব্যাপি মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে তাই তারা ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী শরিয়া আইন চালুর বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
যা র্যাবের প্রো-এক্টিভ অভিযানে ভেস্তে যায়। এই মতবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বিভিন্ন জিহাদি পোষ্ট, জিহাদি পিডিএফ ফাইল মনোযোগ দিয়ে পড়তো। একই সাথে তাদের সহযোগীদের ধ্বংত্মক পরিকল্পনা তাদের আকৃষ্ট করতো।
এভাবেই তারা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে। গত ১০ সেপ্টেম্বর তারা বৈঠক করে। ওই বৈঠকে তারা বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পরিকল্পনা করছিল। গ্রেফতারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান র্যাবের অধিনায়ক। শাহাদতের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সাহেদনগর গ্রামে।
বাবার নাম গোলাম মোস্তফা আর স¤্রাট বাড়ি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার শেখুপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সাহাদত নারায়নগঞ্জের হাজিগঞ্জ জামিয়া হোসাইনীয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফজ সম্পন্ন করে স্থানীয় পাঠানতলী মার্কাজুল তাহরিকা কতমে নবুয়ত মাদ্রাসায় দাউরা হাদিসেঅধ্যয়নরত ছিলেন।
সম্রাট নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ মহুয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে নারায়নগঞ্জ সরকারী তুলারাম কলেজ থেকে এইচ এসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে গামের্ন্টেসে চাকুরী করেন। তারা ২০১৩ সাল হতে ফেইসবুকে বিভিন্ন বেনামী আইডি খুলে জিহাদী পোষ্ট করে আসছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
