চকরিয়ায় গত তিন সপ্তাহে ২৫০ জনেরও বেশি ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত


রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন যাবত ডেঙ্গু রোগের প্রভাব আজও পযর্ন্ত বিদ্যমান। রাজধানীর একজন বিশেষজ্ঞ ডাঃ এর মতে ,সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০১৬ সালে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সে সময় মারা গিয়েছিল ১৪ জন। আর এ বছর দেশে জুন থেকে আগস্টের মধ্যেই ১১ জন মারা গেছে। অথচ ডেঙ্গুর মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। ডেঙ্গুর মৌসুম মূলত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত।
সম্প্রতি চকরিয়াতেও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে অনেকেই।
২ অক্টোবর ডেঙ্গুজ্বরের প্রভাব জানতে গিয়ে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের আর এম ( রেসিডেনসিয়াল মেডিকেল অফিসার) ডাঃ সুবন দত্ত জানান, গত ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে ১২/১৩ জন ডেঙ্গু ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে উক্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ বৃদ্ধ বলে জানান। তবে গত ৩০ অক্টোবর চকরিয়া চিরিংগা সমিতি মার্কেটে ২য় তলায় অবস্থিত ডিসেন্ট কম্পিউটার দোকানের মালিক আবু সালাম ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বর্তমানে আছেন বলেও সরকারি হাসপাতালের আর এম ( রেসিডেনসিয়াল মেডিকেল অফিসার) ডাঃ সুবন দত্ত জানান।
এইদিকে চকরিয়া বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রভাব জানতে গিয়ে চকরিয়া শেভরন হাসপাতালের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম রাশেদ বলেন তাঁদের ল্যাবে গত ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে ৩০/৪০ জন রোগির ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত সনাক্ত হয়। চকরিয়া মা ও শিশু হাসপাতালের কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন থেকে জানা যায়, তাঁদের হাসপাতালে ঐ সময়ে ২/৩ জন রোগি ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত সনাক্ত হয়। চকরিয়া ইউনিক হাসপাতালে কর্মকর্তা মোঃ সোহেল থেকে জানা যায়, তাঁদের হাসপাতালে গত ২/৩ সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়। জমজম হাসপাতালের পরিচালক প্রশাসন মোহাম্মদ রফিক সিদ্দিকী বলেন, বিশেষ করে চকরিয়া পৌর এলাকা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ছোট বড় প্রায় ২২০ জন মত ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। জমজম হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসায় ২০০ জন মত ডেঙ্গু রোগী ভালো হয়ে নিরাপদে বাড়ি চলে গেছেন। ঝুঁকিপূর্ন ডেঙ্গু রোগীকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শফিউল আলম বাহার দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার এর চকরিয়া প্রতিনিধি এম, জুনাইদ উদ্দিন কে জানান, গত ৩০ অক্টোবর সকালে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাষ্টার সরওয়ার আলম এর ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হওয়ায় জমজম থেকে চট্টগ্রাম নেওয়া হয়েছে।
চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী আধুনিক পৌরসভা করার লক্ষে অনেক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন জলবদ্ধতা ও ড্রেন, কার্লবাট ও রাস্তার কাজ করতে গিয়ে অনেক জায়গায় চলাচলের পানি বন্ধ রাখায় ডেঙ্গুর উৎপত্তি বলে অনেকে মনে করেন।
পৌরবাসীকে ডেঙ্গু মুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের সচেতন মহল দাবী রাখছেন।
অপরদিকে ডেঙ্গুরোগ আক্রান্ত মাষ্টার সরওয়ার আলমকে জমজম হাসপাতালে দেখতে যান সন্মানিত উপজেলা চেয়ারম্যান, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম বিএ(অনার্স) এম এ, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শফিউল আলম বাহার।
এবং ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭:৪০মিনিটের সময় চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযুদ্ধ কেবিনে অবস্থানরত ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত চিরিংগা ডিসেন্ট কম্পিউটার দোকানের মালিক আবু সালাম কে দেখতে যান, বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ ও নির্যাতন প্রতিরোধ সোসাইটি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এম, জুনাইদ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল করিম বিটু ও অর্থ সম্পাদক আব্দুল হামিদ।