আলসার হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৫২৫

যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পেপটিক আলসারে ভুগছেন কিন্তু কখনোই গুরুত্ব দেননি। কিন্তু এটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক অসুখ। একটু সচেতনতা, এ রোগ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা এবং দেহের প্রতি সামান্য যত্নের সাহায়্যেই এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সম্ভব।

পেপটিক আলসারের কারণ-
– কম পানি ও ফলমূল গ্রহণ করলে
– খাবারে অরুচি
– বুক জ্বালাপোড়া করা
– অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার খেলে
– দীর্ঘদিন ধরে খাবার খেতে অনিয়ম করা
– পেটের ওপরের দিকে চিনচিন করে ব্যথা অথবা অস্বচ্চিবোধ
– জীবাণুর আক্রমণ, যেমনথ হেলিকোব্যাকটার পাইলরি দিয়ে সংক্রমিত হলে
– অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান করলে

লক্ষণ
– যদি পেটের আলসারের ব্যথার সঙ্গে পেছনে পিঠের দিকে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। অনেক সময় আলসারের – বমি বমি ভাব
– বমি হতে পারে
– অ্যাসপিরিন অথবা ব্যথানাশক অন্যান্য ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
– টক ঢেঁকুড় ওঠা অথবা পেটে গ্যাস সৃষ্টি হওয়া
– আ্যান্টাসিড ট্যাবলেট অথবা তরল অ্যান্টাসিড সেবন করতে পারেন।
– কালো রঙের পায়খানা অথবা রক্তমিশ্রিত পায়খানা হওয়া

যা করতে হবে
– আলসার প্রতিরোধ করার জন্য প্রচুর পানি অথবা তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। কিন্তু দুধ খাবেন না; কারণ এটি এসিড নিঃসরণ আরো বাড়ায়।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
– যদি রক্তবমি হয় অথবা কফি বা কালচে রঙের বমি হয়
কারণে পাকস্থলী অথবা অন্ত্র ছিদ্র হয়ে গেলে এ রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়।
– যদি কখনো শরীর দুর্বল ও অবসাদগ্রচ্চ অথবা দেহ ঠাণ্ডা হয়ে যায়। কোনো কোনো সময় আলসারের কারণে পেটের মধ্যে অনেক রক্তক্ষরণ হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
– যদি কখনো কালো রঙের অথবা রক্তমিশ্রিত পায়খানা হয়।
– পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে।
– বেশি করে পানি ও ফলমূল গ্রহণ করুন
– যদি আলসারের লক্ষণগুলো দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী থাকে।

প্রতিরোধ
– অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাসমৃদ্ধ খাবার পরিহার করুন
– নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মমাফিক পুষ্টিকর খাবার খান
– অতিরিক্ত খাবার খাবেন না
– টেনশন পরিহার করুন
– ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন
– ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক যেকোনো ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন
– খালি পেটে দীর্ঘ সময় থাকবেন না
– যেসব খাবারে অরুচি হয়, সেগুলো জোর করে খাবেন না
– সময়মতো এবং নির্দিষ্ট দিন ধরে ওষুধ না খেলে এই রোগ বারবার হয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মমাফিক ও নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত ওষুধ সেবন করা উচিত।

ওষুধ থেকে যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ অনেক বেশি কার্যকর। একটু সচেতনতা এবং নিয়মমাফিক জীবনধারণের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এ রোগ প্রতিরোধ করতে পারি এবং উপভোগ করতে পারি এক সুস্থ ও সুন্দর জীবন।