জলঢাকায় প্ল্যানের শো প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শনে অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত


নীলফামারী জলঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে স্ট্রেনদেনিং হেলথ আউটকামস ফর ওমেন এন্ড চিলড্রেন প্রজেক্ট ( শো ) প্রকল্পের আওতায় কার্যক্রম পরিদর্শন ও অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে ল্যাম্ব ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের জলঢাকা ফিল্ড অফিসে ২৪শে সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে এ অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ল্যাম্বের টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর মাহফুজার রহমানের সঞ্চালনায় ও স্বাগত বক্তব্যে শো প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রকল্প প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের রিপোর্টিং ও ডকুমেন্টেশন স্পেশালিষ্ট আসাদ রাসেল।
উক্ত সভায় স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করা হয় যে, ২০১৬ সাল থেকে এ প্রকল্পের অধীনে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র সমুহে আগষ্ট ২০১৮ইং পর্যন্ত ৩ হাজার ৫ শত ৯জন নিরাপদ প্রসব সম্পন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে এ প্রকল্পের আওতায় ২৮ হাজার ৫ শত ১৯ জন গর্ভবতী প্রসব পূর্ববতী ও ৪ হাজার ৭ শত ৯১ জন মা'কে প্রসব পরবর্তী স্বাস্থ্য সেবা গ্রহন করেছেন।
এছাড়াও ৮ শত ৪৯ জন গর্ভবতী মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে রেফার করা হয়েছে। অবহিতকরন সভা শেষে সাংবাদিকদের নিয়ে শৌলমারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করানো হয়। এ সময় স্বাস্থ্য পরিবার কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা ২ নং শৌলমারী ইউনিয়নের নুর বানু ( ২০ ) শারমিন আক্তার ( ২২ ) ও বিউটি বেগম ( ২৪ ) জানান, আমরা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহন করছি এবং সময় সাপেক্ষে এখানকার কর্মরত মাঠকর্মীরা আমাদের বাসায় গিয়ে সেবা প্রদান করে থাকেন।
তারা জানান প্ল্যান ও ল্যাম্ব প্রকল্পের আওতায় আমরা দরিদ্র জন গোষ্টি বেশ ভালোই চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি। এফ ডাবলু ভি কর্মকর্তা লাকি বেগম জানান, এ সেবা প্রদানে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমে গেছে এবং মাসে গড়ে প্রায় ১ শত ৫০ জন এই সেবা কেন্দ্র প্রসূতী জনিত সেবা গ্রহন করেন এবং প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রে ২ জন করে দক্ষ সিএসবি রয়েছেন যারা ২৪/৭ দিন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবস্থান করে নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
এছাড়াও গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় নিরাপদ প্রসব সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ১ শত ৫ জন এবং ২৪ জন পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মী কাজ করছে।