চকরিয়ায় দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থী উন্নয়ন সংস্থা "ডমপস্" এর আত্মপ্রকাশ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ৬৭৮
"সুস্থ দেহ সুন্দর মন, শিক্ষাই জাতির উন্নয়ন" এই শ্লোগানকে মনে ধারণ করে কক্সবাজার জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নতুন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দরিদ্র ও অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন সংস্থা (ডমস্)।
 
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কক্সবাজার জেলায় শিক্ষার হার কম। শিক্ষার এই নিম্ন হারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ''দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থী উন্নয়ন সংস্থা (DOMHPS)"। সমাজের বৃত্তবানদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা নিজেরাই যথেষ্ট। অপর দিকে সমাজে হতদরিদ্র, অসহায় ও বৃত্তহীন খেটে খাওয়া মানুষের অনেক মেধাবী সন্তান সহযোগীতার অভাবে ঝরে পড়ছে শিক্ষা জীবন থেকে।
 
আমাদের সকলের সহযোগীতায় তারা যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে অবদান রাখতে পারে। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে ডমস। কাজের সম্প্রসারণ ও শিক্ষিত তরুণ সমাজকে মানব কল্যাণে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে খোঁজা হচ্ছে কক্সবাজার জেলার ঐ সব তরুণদেরকে যারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত এবং ছুটিতে এসে তাদের সময়ের কিছু অংশ কাজে লাগাবেন এলাকার দরিদ্র ও মেধাবী কিশোরদের শিক্ষার পথে এগিয়ে নিতে সহযোগীতা করবে।
 
এরই ধারাবাহিকতায় ডমস সংগঠনটির পরিচালক গত ২ সেপ্টেম্বর চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর ইউনিয়নের দুই জন গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীর সন্ধান পায়। ঐ দু'জন শিক্ষার্থীর কাছে ছুটে যান ডমস্ এর পরিচালক এম গিয়াস উদ্দীন গাজী। তাদের একজনের নাম মোঃ তুহিন। সে পিইসিতে ও জেএসসিতে এ প্লাস প্রাপ্ত। বর্তমানে  তুহিনের বাবা পেরালাইসেসএ আক্রান্ত। তুহিনের লেখা পড়ার খরচ চালিয়ে নিতে পারছে না তার পরিবার।  আর এক জন ফাহিম পিইসিতে ৪.৮৯ পয়েন্ট পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল।
 
খবর নিয়ে দেখা গেছে, ফাহিমের পরিবার ভূমিহীন এবং বাবা পাহারাদার। তার বাবা বহু কষ্ট করে পারিবারিক খরচ জোগাড় করতে গেয়ে চাল আন্তে পান্তা ফোরায়। এঅবস্থায় ফাহিমের লেখা পড়ার খরচ মেটানো তার বাবার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মেধাবী শিক্ষার্থীরা এভাবে শিক্ষার আলো থেকে ছিটকে পড়লে দেশের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার হয়ে যাবে। তাই ঐ দু'জন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের খরচের ভার নিয়েছে ডমস্ এর পরিচালক এম গিয়াস উদ্দীন গাজী। 
 
ডমস্ এর পরিচালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের খোঁজে বের করে তাদের আর্থিক সহায়তাদানে আমরা বদ্ধ পরিকর।
 
তিনি বলেন, দু'জন শিক্ষার্থীদের দিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছি ভবিষ্যতে এ যাত্রা আরো বৃহৎ পরিসরে করার জন্য অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করব। 
 
এদিকে ২ সেপ্টেম্বর ঐ দু'জন শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ  তুলে দেন ডমস্ এর পরিচালক এম গিয়াস উদ্দীন গাজী।