চির নিদ্রায় শায়িত হলেন রমা চৌধুরী


সকলের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন একাত্তরের বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনার পর সেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক, সংস্কৃতিক কর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রমা চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
একাত্তরের এ বীরাঙ্গনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
দুপুর একটার দিকে চেরাগী পাহাড় লুসাই ভবনের সামনে রমা চৌধুরীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান অাবদুস সালাম, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, কোতোয়ালী থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চ্যানেল অাই চট্টগ্রাম এর ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।
এছাড়াও ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, গণজাগরণ মঞ্চ, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদ, কৃষ্ণকুমারী সিটি করপোরেশন স্কুল, অর্পণাচরণ সিটি করপোরেশন স্কুল, মিউনিসিপ্যাল সিটি করপোরেশন স্কুল, পাহাড়িকা স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
এ সময় বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরীর একমাত্র ছেলে জহর চৌধুরী, রমা চৌধুরীর দীর্ঘদিনের সহচর ও তার বইয়ের প্রকাশক আলাউদ্দীন খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চেরাগী পাহাড়ে শ্রদ্ধা শেষে বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরীকে বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অন্তিম ইচ্ছানুযায়ী প্রয়াত পুত্র টুনু চৌধুরীর ছেলের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
৭৯ বছর বয়সী রমা চৌধুরী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। গত জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা রমা চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবনতি হয় রোববার রাতে। ওই সময় তাকে আইসিউ থেকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় এবং ভোর চারটা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।