চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৯৯

ঝিনাইদহে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ বরাদ্দ থাকায় লোড শেডিং হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তাছাড়া জরুরী মেইনটেন্যান্স, সিইডার অপারেশন, জরাজীর্ন লাইন সমস্যার কারনে লাইন বন্ধ রাখতে হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে সবচে বেশি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে জেলা জুড়ে। দিনে রাতে একাধিকবার লোডসেডিং করা হচ্ছে। এতে গ্রামাঞ্চলে ২৪ ঘন্টার ১০ ঘন্টাই বিদ্যুৎ থাকছে না। এমনও দিন আছে শহরে ১০/১৫ দফা লোডসেডিং করতে হচ্ছে। শহরে ২/১ ঘন্টা করে লোডসেডিং করা হচ্ছে বলে দাবী করেন বিদ্যুৎ বিভাগ।

এদিকে, কারীগরি ত্রুটি, অবৈধ সংযোগ, নি¤œমানের ট্রান্সমিটার, ডিস ও ইন্টারনেটের অবৈধ তারের লাইনে কারীগরি ত্রুটি বড়ছে। তাছাড়া জনবলের অভাবে সেবার মান কমে যাচ্ছে। ঝিনাইদহ বিদ্যুৎ বিভাগে পদ আছে ১০৬টি, কিন্তু কর্মরত মাত্র ৭৫ জন।

ঝিনাইদহ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার জানান, ঝিনাইদহ জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১০০ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ ৪০/৪৫ মেগাওয়াট। এই চাহিদা আবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাথে ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে।

ফলে ঘন ঘন লোডসেডিং করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা বাড়াতে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে জেলা প্রশাসক চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাড়ানোর কথা বলেছেন।

অবৈধ ইজিবাইকের চার্জার কারখানার কারণে সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এছাড়াও রয়েছে ডিসলাইন, ইন্টারনেট, ওয়াইফাই ও সিসি ক্যামেরার লাইন বিদ্যুৎ’র পোলের সাথে থাকায় অনেক সময় আগুন ধরে যায়। এতেও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখতে হয়।

বুধবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান, ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকোশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, ঝিনাইদহে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ বরাদ্দ থাকায় লোড শেডিং হচ্ছে।

জেলার ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিদিন বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় ১০০ মেগাওয়াট কিন্তু সেখানে জাতীয় গ্রীড থেকে জেলায় গড়ে প্রতিদিন সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ পাওয়া যায় ৪৮ থেকে ৫০ মেগাওয়াট। এছাড়া জরুরী মেইনটেন্যান্স, সিইডার অপারেশন, জরাজীর্ন লাইন সমস্যার কারনে লাইন বন্ধ রাখতে হয়। তাছাড়া ডিসলাইন, ইন্টারনেট, ওয়াইফাই ও সিসি ক্যামেরার লাইন বিদ্যুৎ এর পোলের সাথে থাকায় অনেক সময় তারে আগুন ধরে যায়।

এতেও বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখতে হয়। ঝিনাইদহ জেলায় কোন মহিলা বিদ্যুৎ কর্মকর্তা নেই বলে জানান। ঝিনাইদহ জেলা থেকে অন্য জেলায় কোন বিদ্যুৎ পাচার হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের এই সমস্যা সমাধান হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহŸান জানান তিনি।