খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ৬


খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। শনিবার (১৮ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার স্বনির্ভর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যেক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল জানান, পাহাড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের ওপর ব্রাশ ফায়ার করে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এক পথচারীসহ ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের ৫ জন মারা যান।
আহতদের উদ্ধার করে ৪ জনকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকি ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। ঘটনার পর থেকেই পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
নিহতদের মধ্যে তপন চাকমা, এলটন চাকমা, জিতায়ন চাকমা নামে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে তপন চাকমা ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, এলটন চাকমা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জিতায়ন চাকমা মহালছড়ি উপজেলা সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক।
আহতরা হলেন- সমর বিকাশ চাকমা (৪৮), সুকিরন চাকমা (৩৫) ও সোহেল চাকমা (২২)। আহত ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের শনিরগড় বাজার ও নাড়ানখাইয়া এলাকায় পাহাড়ি সংগঠন ইউনাটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) লোকজন একটি কর্মসূচি উপলক্ষে জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় অতর্কিতে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। তারা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এ সময় ইউপিডিএফ সদস্য ও সাধারণ লোকজন হতাহত হন। ঘটনার পর খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে ৬ জনের লাশ নেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে একই হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ হামলার জন্য জেএসএস ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিককে দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও ইউপিডিএফের সদস্যরা।