সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৬ লাখ কর্মকর্তা


আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ জনবল। ৩ সিটি নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরপরই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। বিশাল সংখ্যক জনবলের জন্য নিরপেক্ষ লোক বাছাই করা কমিশনের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা।
অন্যদিকে ৩০০টি সংসদীয় আসনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভবনের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের জন্য ভোটকেন্দ্র ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি। বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ। ভোটকেন্দ্র নীতিমালা বলছে, গড়ে ২৫০০ ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র, এবং ৬০০ পুরুষ আর ৫০০ নারী ভোটারের জন্য থাকতে হবে একটি করে ভোটকক্ষ। সে হিসেবে আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের প্রয়োজন হবে প্রায় ৪০ হাজার, আর ভোটকক্ষ ২ লাখ।
এরইমধ্যে প্রতিটি সংসদীয় আসনে শুরু হয়ে গেছে ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা তৈরির কাজ। অভিযোগ নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম।
তিনি বলেন, 'ভোটকেন্দ্র বাছাইয়ের প্রাথমিক একটা পর্যবেক্ষণ চলছে। সরজমিনেও সেগুলো দেখা হবে।'
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের নির্বাচনে সব মিলিয়ে প্রয়োজন হবে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ জনবল। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার নিয়োগের লক্ষ্যে ৩০শে জুলাইয়ের পরপরই সিভিল প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের দেয়া হবে প্যানেল তৈরির নির্দেশনা।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, '৩০ তারিখ হতে তো আর বেশি সময় নেই। এজন্য পরে হয়তো আমরা জাতীয় নির্বাচনকে সামনে নিয়ে আসবো। নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ থেকে শুরু করে সবকিছুই সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবো।'
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের দায়িত্ব দেয়া হয় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে। বিশাল এই সংখ্যক জনবল নিয়োগ দেয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিরপেক্ষ লোক বাছাইয়ে সতর্ক থাকতে হবে ইসিকে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসেন বলেন, 'আমরা যতই আইন করি না কেনো, দেখতে হবে এই আইন কারা প্রয়োগ করবেন। এতগুলো লোক নিয়োগ দেয়া হবে, এরা যে কোনো রাজনীতি করে না, কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই এমনটা পাওয়া কঠিন। কিন্তু, চেষ্টা করতে হবে।'
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় ৩ হাজার প্রশিক্ষকের তালিকা তৈরি করা হবে বলও জানান ইসি কর্মকর্তার।