নাগরপুরে মাদক নিয়ন্ত্রনে ওসি মাইন উদ্দিনের সাফল্য

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৩১ মে ২০১৮ | ৫৭৩

ওসি মাইন উদ্দিন। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ। যোগদান করেছে মাত্র ৭ মাস। এরই মধ্যে এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রনে সফলতা পেয়েছে অভূতপূর্ব। মাদকের সাথে কোন আপস না করার অঙ্গীকার করেছে সে। তার প্রভাবে ইতোমধ্যে এলাকা থেকে সটকে পড়েছে অনেক চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী।

অনেক মাদক সেবনকারীরা গিয়েছে আত্মগোপনে। যার নাম শুনলেই আতকে উঠে এলাকার মাদক সেবনকারী ও ব্যাবসায়ীরা। এরই মধ্যে সে মাদকের সাথে জড়িত একাধিক রাঘব বোয়ালদের ধরে পাঠিয়েছে শ্রীঘরে। গত সাত মাসে এ উপজেলা থেকে ১১৮ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। উদ্ধার করেছে ৫ কেজি গাজা ও ৪ হাজার ৭শত পিছ ইয়াবা।

জানা যায়, ধলেশ^রী নদী বৌধিত উপজেলা নাগরপুর। যাহা পশ্চিমে চৌহালি উপজেলা পূর্বে সাটুরিয়া, ধামরাই। দক্ষিনে দৌলতপুর। উত্তরে দেলদুয়ার ও সদর থানা। একসময় এই উপজেলাকে মাদক চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যাবহার করত চোরাকারবারীরা। ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে নাগরপুর উপজেলায় সহজলভ্য হয়ে উঠে মাদকদ্রব্য।

এতে করে মাদক সেবন ও ব্যাবসায় জড়িয়ে পড়ে এলাকার উঠতি শ্রেণীর যুবকেরা। উপজেলায় ভয়াবহ রুপ নেয় মাদকের কুপ্রভাব। বেড়ে যায় চুরি, ছিনতাই ও খুনের মত ঘটনা। অসহ্য হয়ে অনেক অভিবাবক পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে তাদের মাদকাসক্ত সন্তানদের। ওসি মাইন উদ্দিন নাগরপুর থানায় যোগদান করে ২০১৭ সালের ২০ আক্টোবর।

তিনি নাগরপুর থানায় যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করে। চিহ্নিত করে উপজেলার নতুন পুরাতন মাদক স্পট।

নিজের মত করে তৈরি করে মাদকসেবি ও ব্যাবসায়িদের তালিকা। শুরু করে অভিযান। এ অভিযানে গত সাত মাসে এ উপজেলা থেকে ১১৮ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। উদ্ধার করেছে ৫ কেজি গাজা ও ৪ হাজার ৭শত পিছ ইয়াবা। এতে করে উপজেলায় মাদক পুরোপুরি নির্মূল না হলেও সন্তোষজনক নিয়ন্ত্রন হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন।

এ নিয়ে ওসি মাইন উদ্দিনের সাথে এ প্রতিবেদকর কথা হলে তিনি জানান, আমার দায়িত্ববোধ থেকেই কর্মরত এলাকায় মাদক নির্মূলে বিশেষভাবে কাজ করে থাকি।

ইতিমধ্যে আমি যেখানেই কর্মরত ছিলাম সেখানেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছি। বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করায় আমার কাজটি আরো সহজ হয়ে গেছে।আমি যতদিন পুলিশে কর্মরত থাকব মাদকের সাথে কোন আপস করবো না।

নাগরপুরে মাদক নিয়ন্ত্রনে সফলতা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রনে এ এলাকার জনগন সোচ্ছার হওয়ায় আমার জন্য মাদক নিয়ন্ত্রন করা সহজ হয়েছে। এছাড়াও এ কাজে আমার দক্ষ সহকর্মীরা সহযোগিতা করেছে।