চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসি
মাটি বাহি ভারী ড্রাম ট্রাক চলায় ভেঙ্গে গেছে পাকা ব্রিজ


সংঘবদ্ধ একটি চক্র অবৈধভাবে ভারী ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি বহনের ফলে মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর –ছাওয়ালী রাস্তার গোড়াকি কাজী নগর মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন পাকা ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে। একইসাথে মাটি সরে যাওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে এলাকাবাসিকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ও ফতেপুর ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম ও গুরুত্বপুর্ন রাস্তা হচ্ছে ফতেপুর-ছাওয়ালী সড়ক।দীর্ঘদিন ধরে দুই ইউনিয়নবাসির সহজতম যোগাযোগের এই রাস্তা।রাস্তাাটির গোড়াকি কাজী নগর মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন একটি পাকা ব্রিজ নির্মান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
দীর্ঘ দিন ধরে হাট ফতেপুর গ্রামের ও হিলড়া গ্রামের তুলা মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া,ছাওয়ালী গ্রমের নাজমুল, পাকুল্যা গ্রামের কাদের সহ তাদের সহযোগিরা এলাকার প্রভাব বিস্তার করে জোর পুর্বক ফতেপুর-ছাওয়ালী রাস্তা দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রতি দিন শতশত ড্রাম ট্রাক ও ভারি ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে।এদের বিরুদ্ধে রয়েছে এলাকায় নানা অভিযোগ।প্রভাবশালী এই চক্রটি সিন্ডিকেট করে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি ও মাটি কেটে নেওয়ায় এক দিকে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অপর দিকে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে এলাকার লোকজন ও রাস্তা ঘাট।
স্থানীয় লোকজন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও চেয়ারম্যানগন রাস্তা দিয়ে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়া বন্ধ করার জন্য তাদের অনুরোধ করলেও প্রভাবশালী মহলটি তা আমলে নেয়নি।ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়া নিষেধ করায় চক্রটি প্রভাব বিস্তার করে এলাকার নিরীহ লোকজন ও চেয়ারম্যানদের নানা ভাবে হুমকি ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ফলে চক্রটির কাছে অসহায় হয়ে পরেছে এলাকাবাসি।
এদিকে প্রতি দিন শতশত ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ায় গোড়াকি কাজী নগর মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে।ব্রিজটি ভেঙ্গে ও মাটি সরে যাওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এলাবাবাসিকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ড্রাম ট্রাক ও ভারি ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়া সরকারী ভাবে কোন অনুমোদন নেই।ড্রাম ট্রাক ও ভারি ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।যাদের কারনে সরকারী ব্রিজ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।