বিরোধীপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে সরকার- ফখরুল

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮ | ৪২৬
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ক্রসফায়ার দিয়ে শুধুমাত্র বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য বা একবারেই নির্মূল করার জন্য এই সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
 
তিনি বলেন, এই ক্রসফায়ার নিয়ে দেশের মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। এমন একটা সময় যখন নির্বাচন সামনে ও সরকারের শেষ বছর তখন দেশে একটা যুদ্ধ ঘোষণা হয়েছে।
 
বুধবার, মে ২৩, সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়িতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
 
তিনি আরও বলেন, আমরাও মাদকবিরোধী অভিযান চাই। তবে এটা অরাজনৈতিক হতে হবে। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ক্রসফায়ার দিতে হবে এমনটি নয়। আমরা আগেও বলেছি তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। কিন্তু যেসব যুক্তি দাঁড় করানো হচ্ছে সেগুলো কোনো সভ্য গণতান্ত্রীক দেশে যুক্তি বলে বিবেচিত হওয়ার কথা নয়।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন অল্প কিছু দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় বিশজনকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে গাজীপুরে এক কিশোরকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া কোনো অভিযোগ না থাকলেও গত পরশুদিন নেত্রকোনায় ছাত্রদলের সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
 
গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আলমগীর বলেন, গাজীপুর নির্বাচন বিষয়টি পুরোটাই একটা গোলকধাঁধার মধ্যে ফেলা হয়েছে। হাইকোর্ট থেকে স্থগিত আদেশ দেয়া মাত্রই বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে মামলা দেয়া হয় এবং প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচনের আইন মানছেন না। তারা প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে।
 
তিনি আরো বলেন, গাজীপুরে যে এসপি আছে তিনি একজন চিহ্নিত আওয়ামী লীগ সমর্থক। ওই এসপির আওতায় সুষ্ঠু ও আবাধ নির্বাচন সম্ভব না। সেই এসপি অসংখ্য বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে নির্বাচনের পরিবেশ ধ্বংস করেছে।
 
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না উল্লেখ করে মহাসচিব বলেন, গনতন্ত্রের লিডার খালেদ জিয়া। তাকে জেলে রেখে, নির্বাচন করতে না দিয়ে নির্বাচন কোনদিন সুষ্ঠু হবে না। এই দেশে এখন গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই, জনগণের অধিকার নেই। তাই সকলকে ঐক্যবন্ধ হতে হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।
 
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নুর এ শাহদাৎ স্বজন, আবু তাহের দুলাল, জেলা বিএনপির কোষাধক্ষ্য শরিফুল ইসলাম ও  শ্রমিকদল, ছাত্রদল এবং জেলা যুবদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।