কালিহাতীতে ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ায় বিপাকে কৃষকরা


ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য অতি মাত্রায় বেশি হওয়ায় বিপাকে পরে গেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর কৃষকরা। এক মণ ধানের দামেও পাওয়া যাচ্ছেনা একটি শ্রমিক।
শ্রমিকদের ৩ বেলা খাবার দিয়েও জনপ্রতি দিতে হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত। কৃষকদের ধান কাটাতেই প্রতিমণ ধানের খরচ পড়ে যাচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। অন্যান্য খরচ তো আছেই। উপজেলার হাট-বাজারে বর্তমানে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলার ঝাটিবাড়ী গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম জানান, স্থানীয় ধান কাটার শ্রমিক কম থাকায় বাইরের শ্রমিকদের দিয়ে ধান কাটাতে হচ্ছে। ৩ বেলা খাবার দিয়ে সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ধান কাটিয়ে জনপ্রতি দিতে হচ্ছে ৭০০ টাকা। খুব সমস্যায় আছি।
উপজেলার ধুনাইল গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, এলাকার কোন ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে অন্য জেলার শ্রমিকদের ৩ বেলা খাবার দিয়েও জনপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত মুজুরি দিচ্ছি। যা একমণ ধানের দামের চেয়েও বেশি। বাগুটিয়া গ্রামের কৃষক সোহরাব বলেন, খাবার দিয়েও প্রতি শ্রমিককে ৭৫০ টাকা করে দিচ্ছি। হতাশার মধ্যে পড়ে গেছি।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এএম শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর ১৭ হাজার ৫শ ৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও এ মৌসুমে তা ছাড়িয়ে ১৮ হাজার ৪শ ২ হেক্টরে এসেছে। ধান খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু ধান কাটার জন্য স্থানীয় কৃষক শ্রমিকের সংকট তাই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শ্রমিদের ৩ বেলা খাবার দিয়ে প্রতি শ্রমিককে কৃষকরা মুজুরি দিচ্ছেন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা।
বিভিন্ন পেশায় জড়িত হওয়ার কারনে স্থানীয় শ্রমিকের সংখ্যা কমে গেছে। অন্যান্য জেলা থেকে কৃষক শ্রমিক আসাতে ধান কর্তনের অভাব কিছুটা পূর্ণ হয়েছে। সরকারী সহায়তা (ভর্তুকী)’র আওতায় ইতিমধ্যে উপজেলায় ৩ জন কৃষকের মাঝে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ মেশিন যদি আরোও বেশি বরাদ্দ করা হতো তাহলে কৃষক শ্রমিকের সংকট কমে যেত।