ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় কালিহাতীর এলেঙ্গা সেতু
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাজার সংলগ্ন লৌহজং নদীর উপর নির্মিত এলেঙ্গা-পটল সেতুটির খুঁটির চারপাশের মাটি সড়ে গিয়ে খুঁটি বেড়িয়ে চরম ঝুকিঁপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন এই ব্রীজের উপর দিয়ে হাজার মানুষ ও শত মত যানবাহন যাতায়াত করে। যে কোন সময় বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছে এলাকাবাসী।
২০০৫ সালের সিরাগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয় ট্রের্ডাস সেতুটি নির্মাণ করে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১৩০ মিটার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির খুটিগুলোর থেকে মাটি সড়ে গিয়ে প্রত্যেকটি পাইলিং ক্যাপ এমনকি পাইলিং বাইরে বেড়িয়ে এসেছে। বড় কোন ট্রাক, বাস যাতায়াত করলে ব্রীজটিতে ভয়ংকর কম্পনের সৃষ্টি হয়। মগড়া, গুপিনদাসী, হিজলী, শিয়ালখৈল, পটল, যুগনী, নিকরাইল, অয়নাপুর, পুংলির চর, সিংগুড়িয়াসহ অন্তত ২০ টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের লৌহজং নদীর উপর দিয়ে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সেতুটি।
এলেঙ্গা বাজারের চায়ের দোকানদার শুকুর আলী বলেন, ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলনের কারনে পাড়ের জমি সড়ে যাচ্ছে। ব্রীজের খুটির মাটিও সড়ে গিয়ে পাটাতন বেড়িয়ে এসেছে। খুব ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে ব্রীজটি।

উপজেলার হিজলী পূর্বপাড়ার নৃতাত্তিক আদীবাসী সমিতির সম্পাদক খোকন চন্দ্র রায় বলেন, ব্রীজটি খুব ঝুকিপূর্ণ খুটির নীচ থেকে মাটি সড়ে যাচ্ছে। গাড়ি গেলে ব্রীজটি ঝুকে। ব্রীজের বেশকিছু জায়গায় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। যত তারাতারি সম্ভব এ ব্রীজের কাজ করা উচিৎ। তা না হলে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা রয়েছে। ট্রাক ড্রাইভার মো. রমজান আলী বলেন, এই সেতুর উপর দিয়ে ট্রাক নিয়ে চলাচল করলে ভয় লাগে। কিন্তু কিছুই করার নেই যতই ভয় লাগুক এই সেতুর উপর দিয়েই চলাচল করতে হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুর রহমান জানান, ব্রীজটির নীচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ব্রীজটি ঝুকির মধ্যে পড়েছে। এই বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এরই ফলশ্রুতিতে সদর দপ্তর থেকে ব্রীজ ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শন করেছেন।পরিদর্শন ডোর অত্রদপ্তর থেকে ডিজাইন প্রেরণ করেছেন। যার প্রাক্কলন প্রস্তুত করে সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। খুব দ্রæত ডিজাইন অনুমোদন হবে এবং এর ব্যবস্থা করা হবে।
