শিবগঞ্জে ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ফসলী ধানের ব্যাপক ক্ষতি


বগুড়ার শিবগঞ্জে ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় প্রায় ৫০ বিঘা জমির ইরি বোরো ফসলী ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকার আম ও কাঁঠালসহ বিভিন্ন গাছের ফল ঝড়ে যাচ্ছে।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কেশরীপুর গ্রামের ধান ক্ষেতের মাঝে অবস্থিত এম.এইচ.টি মার্কা ইট ভাটা।
ওই ইট ভাটা সহ অাসে পাশে অবস্থিত অারো তিনটি ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় আশপাশের প্রায় ৫০ বিঘা জমির ইরি বোরো ধানের শীষ সাদা ও কালছে হয়ে যাচ্ছে এর ফলে আধাপাকা ধান গাছ শুকিয়ে মাটিতে নুয়ে পড়ছে। এতে এলাকার বোরো চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।এ ব্যাপারে কেশরীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল বলেন অনেক কষ্টে ২ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি ধানের শীষে ধানের দানা নেই তিনি হতাশায় বলেন এখন আমাদের কি হবে।
একই গ্রামের কৃষক আলতাব আলী, ছাইফুল ইসলাম, মঞ্জু মিয়া, মোবেনা বেগম, আফছার আলী , মোখলেছার রহমান, শহিদুল ইসলাম, দুলাল মিয়া সহ আরো অনেক কৃষকের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন আমরা ভেবে ছিলাম এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে কিন্তু ইট ভাটার ধোয়ার কারণে আমাদের সকল আশা ভরসা শেষ হয়ে গেছে। তারা অভিযোগ করে বলেন ধোঁয়ার কারণে ধানের গাছ শুকিয়া যাচ্ছে এর ফলে ধানের শীষ সাদা হওয়ায় ধানের দানা আসছে না। স্থানীয় কৃষকরা বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ক্ষতি পূরনের দাবি জানান।
কেশরীপুর গ্রামের জালাল উদ্দিন ধলু মহুরী বলেন, আমার কাঠাল ফলগুলোও কালো হয়ে নষ্ট হয়ে পরে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, আম ফলগুলো লাল বর্ণ ধারণ করে পরে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে ইট ভাটার ম্যানেজার গোলাম রব্বানী বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাটার চিমনি’র উচ্চতা সঠিক রয়েছে, তিনি আরো বলেন এই ভাটার পার্শ্বে আরো ৩টি ইট ভাটা রয়েছে সকল ভাটার কালো ধোঁওয়ার কারণে কিছু ধান গাছের পাতা নষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে এ এলাকার কিছু মানুষ তারা বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,তবে আমরা ব্যবসায়ী কৃষকদের পাশেই আমরা রয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ আহমেদ বলেন, পাতা দ্বারা গাছের খাদ্য তৈরী হয়। তাই পাতা খতিগ্রস্থ হলে ফলন স্বাভাবিক ভাবেই কম হবে।