নন্দীগ্রামে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু কৃষকের মুখে হাসি


শস্য ভান্ডর হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রামে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। বোরো ধানের মাঠে এখন পাকা ধানের সোনালী হাসি । উজ্জল রোদে সেই হাসি আরো ঝলমল করে উঠছে । অনেক মাঠেই কৃষক কাস্তে নিয়ে ধান কাটার উৎসবে নেমে পড়েছেন। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে এতে করে কৃষকের মন ভরে উঠেছে আনন্দে।
মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে ধান বিক্রি করে আশানুরুপ দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা । সব ধরনের কৃষি পন্যের দাম বাড়ার কারনে উৎপাদন খরচ কিছুটা বাড়লেও ভালো লাভ হচ্ছে। কৃষকরা জানান, এবার প্রতি বিঘা বোরো চাষে সাড়ে ছয় হাজার থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়েছে তবে এবার উৎপাদন ভালো হয়েছে ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলার ২০ হাজার ৪শ ৪৪হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি ধানের ফলন আশানূরূপ হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে । কৃষকদের সবচেয়ে ব্যয় বহুল ঝুকিপূর্ণ আবাদ হচ্ছে ইরি-বোরো চাষ।
বোরো ধান দেশের খাদ্য চাহিদা পুরনের প্রধান ভূমিকা রাখে। তাই এবারো কৃষকরা মাঠের ফসলি জমির প্রতি যত্নশীল হয়েছিল। সে কারণে ভালো ভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী ধান পাবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলার হাটলাল গ্রামের কৃষক আঃ রহিম, আনছার আলী, ভাদুম গ্রামের কৃষক আঃ কালাম জানান, প্রতি বিঘায় মিনিকেট ধান ২০ থেকে ২৫ মন হারে ফলন হচ্ছে। মিনিকেট ধান বাজারে ৮৫০ থেকে ৯২০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।
ধান কাটার শুরুতেই ভালো ফলন ও ন্যায্য দাম পেয়ে তারা খুব খুশি বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা. মশিদুল হক জানান, ভালো আবহাওয়া ও কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শে এবার উপজেলায় বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মন হারে ফলন হচ্ছে।