জেএসসি বৃত্তির ফলাফলে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ জেলায় প্রথম


কক্সবাজার জেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ সদ্য ঘোষিত জেএসসি বৃত্তির ফলাফলে কক্সবাজার জেলায় চমক সৃষ্টির পাশাপাশি বরাবরের মতো প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক মন্ডলী ও সচেতন অভিভাবকদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় বরাবরের মতো চমৎকার ফলাফল করেছে উক্ত বিদ্যালয়।
২০১৭ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের অধীনে চট্টগ্রামশিক্ষা বোর্ডের জেএসসি পরীক্ষায় ১০ জন ট্যালেন্টপুল ও ৩৯ জন সাধারণ গ্রেডসহ মোট ৪৯ জন বৃত্তি অর্জন করেছে।
০৮ এপ্রিল ঘোষিত জেএসসি বৃত্তির ফলাফলে সর্বোচ্চ বৃত্তি পেয়ে কক্সবাজার জেলায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে অত্র বিদ্যালয়।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের তথ্য মতে এবছর চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ সর্বোচ্চ বৃত্তি পেয়ে কক্সবাজার জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। ফলাফল ঘোষণার পর সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে যায়, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এক আনন্দঘণ মুহুর্ত। একদিকে শিক্ষার্থীদের বিজয়ের মিছিল অপরদিকে শিক্ষকদের সুনামের মিছিল। বিজয় চিহ্ন প্রদর্শনের মাধ্যমে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক নুরুল আখের দৈনিক আলোকিত সকালকে বলেন, আমার বিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবকমন্ডলী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও সুপ্রিয় শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় আজ আমার বিদ্যালয় জেলার শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। তিনি এ ফলাফলের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া প্রকাশ করেছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম এম,এ প্রতিবেদককে বলেন, এ ফলাফলের পিছনে যারা সর্বোচ্চ সময় ব্যয় করেছেন তারা হলেন আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী। এজন্য তিনি সকল শিক্ষককে আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল কাদের বলেন- বর্তমানে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যার কারণে এবছর আমরা ভালো ফলাফল করতে পেরেছি। তিনি ভালো ফলাফলের জন্য সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, প্রতিবছর এ বিদ্যালয় প্রত্যেক পরীক্ষায় জেলার শীর্ষ দখল করে আসছে।