নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের এখতিয়ার নেই ইসির : কাদের

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৪৫ পিএম, রোববার, ৮ এপ্রিল ২০১৮ | ৪৩৬

আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কাজ করবে। কিন্তু সেনাবাহিনী থাকবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই ইসি চাইলেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে পারবে না।

রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-কমিটির বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

এর আগে সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে হলে সেনা মোতায়েন অত্যাবশ্যক। 

অন্যদিকে সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত 'বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন : সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়ন হয়েছে। তাই প্রয়োজন হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও সেনা মোতায়ন হতে পারে।

এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (নির্বাচন কমিশন) সরকারকে শুধু অনুরোধ করতে পারবে। সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন মনে করলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে। এ বিষয়ে সংবিধানে সব কিছু বলা আছে। কেউ চাইলেও সংবিধানের বাইরে যেতে পারবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হবে, পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সারা বিশ্বে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে থাকেন। তাহলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও এপিরা কেন পারবে না। এ বিষয়ে আমরা ইসির সঙ্গে বসবো।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ-কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, প্রলয় সমদ্দার, কান্তি দাশ প্রমুখ।