বাগাতিপাড়ায়

এনজিওর কিস্তি দিতে না পারায় সদস্য লাঞ্চিতের অভিযোগ

বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:২৬ এএম, রোববার, ১ এপ্রিল ২০১৮ | ২৭৭

সময়মত ঋনের কিস্তি দিতে না পারায় নারী সদস্যকে অশালিন কথা বলা ও তাঁর স্বামীকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) আশা’র লোন অফিসার রফিকুল ও রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপেজলার জিয়াড়কোল গ্রামে।

সূত্রে জানা যায়, আশা এনজিওর নাটোর সদরের বুড়িরবটতলা শাখার অধিনে বাগাতিপাড়া উপেজলার জিয়াড়কোল গ্রামে ‘শাপলা’ নামে একটি মহিলা দলে কিস্তি আদায় করেন রফিকুল ইসলাম নামে একজন কর্মী। ওই কেন্দ্রের একজন মহিলা সদস্যে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে কিস্তির টাকা নির্দিষ্ট সময়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত বুধবার বিকালে ওই সদস্যের বাড়িতে আসেন এনজিও কর্মী রফিকুল ইসলাম ও রবিউল সহ বেশ কয়েকজন। এসময় কিস্তির টাকা না পেয়ে মহিলা সদস্যেকে নানারকম খারাপ কথা বলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এনজিও কর্মীরা কাকফো বাজারে গিয়ে ওই মহিলা সদস্যের স্বামী আসলামকে পেয়ে কিস্তির টাকা চাওয়া নিয়ে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একসময় এনজিও কর্মীরা আসলাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে বলে অভিযোগ করা হয়।

মহিলা সদস্যের স্বামী আসলাম উদ্দিন দাবী করেন, ‘আমি বাড়িতে না থাকাবস্থায় আমার বাড়িতে আশা সমিতির রফিক ও রবিউল সহ বেশ কয়েকজন যায় এবং কিস্তির টাকা না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীকে বলে তুলে নিয়ে দুই দিন রাখলে ঠিক টাকা পাওয়া যাবে। এছাড়াও আরো অনেক খারাপ খারাপ কথা বলে তারা। পরে আমি বিষয়টি শুনে কাকফো বাজারে তাদের সাথে দেখা করে কয়েকদিন পর টাকা নেয়ার অনুরোধ করলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালা-গালি করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে।’

এ ঘটনা সম্পর্কে এলাকাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোব বিরাজ করছে। ঘটনা সম্পর্কে জিয়াড়কোল গ্রামের আবু বক্কার বলেন, ‘লজ্জায় ঘৃনায় আসলাম ও তার স্ত্রী আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করে। সমিতি কিস্তির টাকা আদায় করতে এনজিও কর্মীরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে না। ’

মহিলা সদস্যকে অশালিন কথা বলা ও সদস্যের স্বামীকে প্রকাশ্যে লাঞ্চিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত এনজিও কর্মী রফিকুল ইসলাম এর কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আমার নামে অভিযোগ হোক, মামলা হোক, আমি আদালতে জবাব দিব।’ অপরদিকে ঘটনা সম্পর্কে শাখা ব্যবস্থাপকের কাছে জানতে চাওয়ায় ওই শাখার মাঠ কর্মী অপর অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে দাম্ভিকতা দেখিয়ে বলেন, আমি বাগাতিপাড়ার ছেলে, আমি কাদের চেয়ারম্যানের ভাতিজা, আমার শশুর বাড়ি নাটোরের হরিশপুরে আপনার যা বলার বা শুনার আছে আমাদের অফিসে আসেন। আমাদের সমিতির টাকা আমরা কীভাবে উঠাবো তা আমাদের ব্যাপার, আপনাকে বলতে হবে কেন।

এ ব্যাপারে বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) আশা’র নাটোরের জেলা ব্যবস্থাপক এনামুল হক বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খ জনক। কোন সদস্য কিস্তির টাকা দিতে না পারলে তার সাথে কর্মীরা কখনই দূর্ব্যবহার করতে পারে না। আর সাংবাদিক কোন তথ্য চাইলে তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করা উচিত। ঘটনাটি আমার জানার বাইরে ছিল। আমি গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখছি।