কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরতে প্রথম পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়

তনয় কুমার বিশ্বাস
প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, সোমবার, ২৬ মার্চ ২০১৮ | ৮৯৯

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে টাঙ্গাইল শহরের পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি।

২৬ মার্চ মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা ষ্টেডিয়ামে এ কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। আর এই প্রতিযোগিতায় ‘খ’ বিভাগে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরতে প্রথম স্থান অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের এই সাফল্যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং কর্মকর্তাসহ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলেই খুব খুশি। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর ভাল ফলাফলের পাশাপাশি সহ-শিক্ষা কার্যক্রমেও নিয়মিতভাবে সাফল্য অর্জন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবছরও মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরতে সাফল্য পায় প্রতিষ্ঠানটি।

শিক্ষার্থীরা বলেন , “প্রতিবছর আমরা কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনে অংশগ্রহন করি। শিক্ষকদের সঠীক দিক নির্দেশনা পালন করার চেষ্টা করি। আমরা এই বছর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনে প্রথম স্থান অর্জন করেছি। তাই আমরা সবাই খুব খুশি।”

পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কুচকাওয়াজের দায়িত্বে সার্বক্ষনিক দিক নির্দেশনাকারী প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুল কদ্দুছ বলেন, “আমি সব সময় চেষ্টা করি আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতে রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামগুলোতে নিয়মিতভাবে সাফল্য অর্জন করতে পারে। সেই অনুযায়ী শিক্ষার্থীদেরকে কুচকাওয়াজ করার জন্য আমি যেভাবে দিক-নির্দেশনা দেই তারা সঠীকভাবে আমার নির্দেশনা পালন করে থাকে। এছাড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকবৃন্দ এবং অভিভাকরা সকলেই আমাদেরকে সহযোগিতা করার ফলেই প্রতিবছরই আমরা কুচকাওয়াজে ভাল করি।”

শারীরিক কসরতের দায়িত্বে থাকা সহাকারি শিক্ষক কাজী লুৎফুল করিম বলেন, “ আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শারীরিক কসরত প্রদর্শনে খুব আগ্রহ দেখা যায়। তাই শিক্ষার্থীদেরকে আমি যে ভাবে দেখিয়ে দেই তারা সেই ভাবেই ভাল করার চেষ্টা করে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা প্রতিবছরই ভাল করি।”

পুলিশ লাইনস্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল কাদের বলেন, “ আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি সহ-শিক্ষা কার্যক্রমেও প্রতিবছর ভাল করছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এবং চেষ্টায় প্রতিবছর আমরা স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবসে ভাল করি। আমি মনে করি এই সাফল্য শুধু আমাদের একার নয়। প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা ভাল করছি। আশা করছি এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।”