দরপতন থামছে না শেয়ারবাজারে

দরপতনের কারণ অনুসন্ধানে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) উদ্যোগ নিলেও দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন থামছে না। উল্টো টানা দরপতনের মধ্যে পড়েছে শেয়ারবাজার।
মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সব কটি মূল্য সূচক কমেছে। এ নিয়ে টানা চার কার্যদিবস উভয় বাজরে দরপতন হলো।
মূল্য সূচকের পাশাপাশি এ দিন উভয় বাজারে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
শেয়ারবাজারে এই টানা দরপতন শুরম্ন হয় গত ১৫ ফেব্রম্নয়ারি থেকে। আর ১৮ ফেব্রম্নয়ারি এক প্রকার ধস নামে উভয় শেয়ারবাজারে। ওই দিন ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচকের ৯৯ পয়েন্ট এবং সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচকের ১৭৮ পয়েন্ট পতন হয়।
এমন দরপতনের কারণ খুঁজে বের করতে ওই দিনই ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেয় বিএসইসি। চিঠিতে দরপতনের পেছনে কোনো বাজার কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে অতিসত্বর কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে দুই শেয়ারবাজারকে এমন চিঠি দেয়া হলেও দরপতন থামেনি। বরং বিএসইসির চিঠির পরের দুই কার্যদিবসও দরপতন হয়েছে। আর মঙ্গলবার এক প্রকার বড় দরপতন হয়েছে উভায় বাজরে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৯০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯১টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টির।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৭৩ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে।
বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৯১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের ২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল।