টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে

তনয় কুমার বিশ্বাস
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ৬০০

দক্ষতা, পরিশ্রম ও স্বচছতার মধ্য দিয়ে কাজ করলে যেকোন মানুষই তার কাজের স্বীকৃতি পাবে । এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরে শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, সদাচরণ, সহযোগিতামূলক মনোভাব, পাঠদান ও দক্ষ ব্যবস্থাপনাসহ ইত্যাদি বিষয়ে অসামান্য অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে । ১৪ ফ্রেব্র“য়ারি বুধবার জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম এর নিকট থেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বীকৃতি স্বরুপ ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহন করেন তিনি।

তিনি ১৯৭২ সালের ১ লা এপ্রিল টাঙ্গাইলের মধুপুরে জন্মগ্রহন করেন । ১৯৮৯ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন । ১৯৯১ সালে মধুপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন । এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে (এমএসসি) এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে গণিতে (এম.এম.সি) অর্জন করেন ।

ঢাকা টিটি কলেজ থেকে (বিএড) করেন । তিনি কর্মজীবনে কমপক্ষে ৩০ টি সরকারি-বেসরকারি ট্রেনিং করেছেন । শিক্ষকতা পেশায় থাকাকালীন সময়ে নায়ামে, বিয়ামে এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীন ময়মনসিংহ এইচ.এস.টি.টি আই থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে প্রথম স্থান অর্জন করে সফলতার সঙ্গে প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন ।

প্রশিক্ষণ গ্রহন শেষে ২০১২ সালে বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজটির অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগেও বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজে যেখানে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতো না ৬০ জন । সেখানে তার সঠীক নির্দেশনা এবং দক্ষতায় বর্তমানে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে ২০৪ জন । এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবে ২২৯ জন শিক্ষার্থী । সব-পিতা মাতাই চায় নিজের সন্তানকে জেলার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করাতে । সেখানে তিনি তার নিজের সন্তানকে নিজের প্রতিষ্ঠানেই ভর্তি করিয়েছে ।

তার ছেলে শ্যাম সুন্দর দে । বর্তমানে সে বিবেকানন্দ হাই স্কুল কলেজের দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এবং সফলতার সঙ্গে প্রথম স্থান অর্জন করছে । পঞ্চম শ্রেণিতে সমপনী পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলেও বৃত্তি পেয়েছে । অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বলেন, “ পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমি কাজ করি না । ১৯৯৬ সাল থেকে নিজের চেতনা থেকে শিক্ষকতা পেশায় এসেছি । এইটাই আমার প্রথম এবং শেষ পেশা । আমি জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি ।

আমি মনে করি আমার এ অর্জন শুধু আমার একার নায় । এ অর্জন আমার প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের । জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় এবং জুরি বোর্ডেও সকলের নিকট আমি কৃতজ্ঞ । আগামীতেও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মানোন্নয়নে আমি কাজ কওে যাবো । এ জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সকলের সহযোগিতা চাই ।”