বিশ্বের ২০টি দূষিত শহরের ১৩টিই ভারতে, দিল্লি সবচেয়ে দূষিত রাজধানী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৫ পিএম, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ | ১৬৩

২০২৪ সালের বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দূষিত শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে বায়ুরগুণমান নির্ণয়কারী সুইজারল্যাণ্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী,বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ২০টি শহরের ১৩টিই অবস্থিত ভারতে। এছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীর তালিকায় সবার ওপরে নাম রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা আইকিউএয়ার-এর রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। খবর সিএনএন।

মঙ্গলবার আইকিউএয়ার এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, গত বছর সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিলো বিশ্বের জনবহুল দেশ ভারতের শহরগুলো। জরিপে দেখা গেছে ২০টি শহরের মধ্যে একটি বাদে ১৯টির অবস্থানই এশিয়ায়। এর মধ্যে ভারতের ১৩টি, আর অবশিষ্ট চারটি দূষিত শহরের অবস্থান যথাক্রমে পাকিস্তান, চীন এবং কাজাখস্তানে। অন্যটি আফ্রিকার দেশ চাদের রাজধানী এনজামেনা। ভারতে বেশি দূষিত হওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মূলত কয়লা দ্বারা পরিচালিত হয়। সেইসঙ্গে দেশটির লাখ লাখ মানুষ যানজট এবং ঘনবসতিপূর্ণ মেগাসিটিতে বাস করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা( ডব্লিউএইচও) বলছে , যে বাতাসের প্রতি ঘনমিটারে পিএম ২ দশমিক ৫ এর গড় বার্ষিক মাত্রা ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি শিল্প শহর বাইরনিহাটে গত বছর পিএম ২ দশমিক ৫ এর ঘনত্ব ১২৮ দশমিক ২ রেকর্ড করা হয়েছে। যা ডব্লিউএইচও -এর মানদণ্ডের ২৫ গুণেরও বেশি। এ পরিস্থিতির জন্য শহরের চারপাশের কারখানা, ক্রমবর্ধমান নির্মাণ শিল্প এবং গাছ কাটাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।

এছাড়া, জরিপে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি টানা ষষ্ঠ বছরের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী হিসাবে স্থান পেয়েছে। যেখানে পিএম ২ দশমিক ৫ এর ঘনত্ব ঘনত্ব ৯১ দশমিক ৮। প্রতিবেদনে ছয়টি উপ শহর - ফরিদাবাদ, লোনি, দিল্লি, গুরুগ্রাম, নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডা কেও দূষিত শহরের ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র বাতাসের দূষণের কারণে ভারতে প্রতি বছর ১৫ লাখ মানুষ মারা যান বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৪ সালে আফ্রিকার দেশ চাদের বায়ুমান ডব্লিউএইচও এর নির্ধারিত মানদণ্ড ১৮বার অতিক্রম করেছে। এরপরই রয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএম ২ দশমিক ৫ অনুর দিক থেকে দেশ দুটির অবস্থান যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয়। একসময় কার্বন নিঃসরণে শীর্ষ দেশ ছিল চীন। কিন্তু সম্প্রতি দেশটি বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। সেইসাথে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার কমিয়ে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়িয়েছে দেশটি।