খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে নাটোর-১ আসনের
মাঠে নেই আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীরা


বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র আহবানে সাড়া দিয়ে মাঠে অবস্থান করতে দেখা যায় নি নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের।
এ আসনের বর্তমান সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সারাদিন লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নের্তৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে গুরুত্বপ‚র্ন সড়ক ও মোড় সম‚হে অবস্থান করেন এবং রায় ঘোষনার পর আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরন করেন।
এছাড়া নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল কিছু সমর্থক নিয়ে বাগাতিপাড়া মালঞ্চি রেলগেট এবং যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিন্টু বিলমাড়িয়া বাজার এলাকায় অবস্থান করলেও এ আসনে বাকি মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সাংসদ শেফালী মমতাজ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মাজেদ-উর রহমান চাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা কর্নেল রমজান আলী সরকার, কৃষকলীগ নেতা আতিকুল হক আতিক, বাগাতিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ উপ কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ সাগর ও সিলভিয়া পারভীন লেনিকে বা তাদের সমর্থকদের গুরুত্বপ‚র্ন সড়ক বা মোড়ে অবস্থান করতে বা রায় পরবর্তী মিছিলে অংশগ্রহন করতে দেখা যায় নি। অপরদিকে বিএনপি নেত্রীর ৫ বছরের রায় হওয়ার আগে বা পরে এখন পর্যন্ত কোন মিছিল, সমাবেশ করে নি লালপুর-বাগাতিপাড়া থানা বিএনপি। এমনকি কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী এ এলাকায় কোন কর্মসূচি গত ৪ বছর পালন করতে দেখা যায় নি।
এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান পটলের সহধর্মীনি কামরুননাহার শিরিন, বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা তরিকুল ইসলাম টিটু। তিনজনই থাকেন ঢাকায়, ফলে এ এলাকার বিএনপি হয়ে আছে নের্তৃত্বহীন নিরব দর্শক।
দু’দলের তৃণমুল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, দলীয় নির্দেশ থাকার পরও যারা মাঠে নামছে না, তাহলে দলের দুর্দিনে তারা কোথায় থাকবে। শুধু সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে ডিজিটাল ব্যানার বানিয়ে ও ফেসবুকে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন কিন্তু তাদের কেউ রাজপথে দলীয় কর্মস‚চিতে অংশগ্রহন করছেন না। মাঝে মধ্যে সভা-সমাবেশ করলেও তা ছবি তোলা পর্যন্তই। সভা-সমাবেশের পরে আর খুজে পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে লালপুর থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুনার রশিদ পাপ্পু জানান, কেন্দ্রের নির্দেশনা অবশ্যই মানতে হবে। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আমরা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেবো।
লালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু জানান, খালেদ জিয়ার রায়ের দিন ও পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত যেনো নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য স্থানীয় সাংসদ সহ আমরা নেতাকর্মীরা রাজপথে অবস্থান করছি। অথচ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কয়েকজন বৌ-ছেলে বা নাতি-নাতনীদের নিয়ে টিভি দেখছেন।
তাই যে নেতা নেতাকর্মীদের নিয়ে দলকে শক্তিশালী করেন, রাজপথে থাকেন তাকেই যেন মনোনয়ন দেন জননত্রেী শেখ হাসিনা এটাই তৃনমুল নেতা-কর্মীদের দাবি।
সালাহ্ উদ্দিন/পিএইচ