জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র
সরকার ও জনগণ চাইলে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ


বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণ প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো উপায়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থার মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক এ কথা জানিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কিনা বা তার সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা। জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, মহাসচিব তার (ড. ইউনূস) সঙ্গে কথা বলেননি। তবে বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক সমন্বয়ক বৃহস্পতিবারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যেন শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে তিনি ও কান্ট্রি টিম সক্রিয় রয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাত্রই শপথ নিয়েছেন। তার বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনো বক্তব্য আছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হলে উপমুখপাত্র বলেন, আপনারা শুনেছেন যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠনের প্রত্যাশার কথা আমরা বলে আসছি। আমরা নিশ্চিতভাবেই সেই প্রত্যাশা অব্যাহত রাখছি।
বাংলাদেশে সহিংসতা কমে আসা এবং সাধারণ মানুষের সংযত আচরণকে ইতিবাচক লক্ষণ বলে মন্তব্য করেন ফারহান হক।
আন্দোলন চলাকালে কয়েকশ মানুষের নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা চাওয়া হচ্ছে— এক সাংবাদিক এ কথা উল্লেখ করলে জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ যদি আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন মনে করে, তাহলে যেকেনোভাবে তাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নতুন সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কী অনুরোধ জানানো হয়, তাও তারা দেখবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
হিন্দুসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনো প্রতিক্রিয়া বা বক্তব্য আছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, ভালো কথা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে যেসব সহিংসতা হচ্ছে, তা যেন কমিয়ে আনা হয়, আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই। যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী সহিংসতায় উসকানির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।