প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে
দ্বিতীয় দিনেও মাভাবিপ্রবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি


প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত আজও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
এদিনেও বায়োকেমিষ্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষা দিতে এসে ছিলেন ৪০ জন প্রার্থী। সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করে ছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ।
গত সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষকরা এ অবস্থান নেয়। এরপর সাড়ে এগারোটায় ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা নেয়ার উদ্দেশ্যে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্দেশ্যে উপাচার্য তাঁর কার্যালয় যেতে চাইলে শিক্ষকদের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক সমিতির নেতাদের তোপের মুখে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেন কর্তপক্ষ। পরীক্ষা দিতে এসে ছিলেন প্রায় ৬০ জন প্রার্থী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফার্মেসী বিভাগ এবং বায়োকেমিষ্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী শুধু মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা। কিন্তু এ নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতারা এ সিদ্ধান্ত না মেনে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষার দাবি তোলেন।
গত রোববার সকালে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদার রহমানের সঞ্চালনায় প্রফেসর ড. এ এস এম সাইফুল্লাহ এর সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত পদ্ধতিতে (শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা) শিক্ষক প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবং প্রতিবাদ স্বরুপ সোমবার সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদার রহমান বলেন, আজও আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের কয়েকজন শিক্ষক ভিসি স্যারের সাথে দেখা করেছে। বিভিন্ন কথা বার্তা হয়েছে। ভিসি স্যার শিক্ষকদের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রচলিত পদ্ধতিতে বোর্ড নিতে চাচ্ছেন না তবে পরবর্তীতে আলোচনা করে একটা সমঝোতার ভিত্তিতে যে সিদ্ধান্ত হয় সেটা যদি স্যারের পক্ষে মানা সম্ভব হয় তাহলে সেটা মানবেন তা না হলে তিনি চুপচাপ থাকবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
তিনি আরোও বলেন, শিক্ষকরা কখনও চাইনি যে বোর্ড স্থগিত থাকুক। আমরা আজও চেয়েছি বোর্ড চলমান থাকুক। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ দিতে চাচ্ছেন না বলে স্যার নিজেই বোর্ড স্থগিত করেছেন।