জেএসসির ফল বিপর্যয়ে অভিভাবকরা শষ্কায়!

ধনবাড়ীতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ৩০৮১ শিক্ষার্থী

মধুপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, বুধবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৮ | ৪৫৭
ফাইল ছবি

আগামীকাল থেকে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলে ও সকাল ১০ টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা চলবে দুপুর ১ টা পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা।

২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় মোট ৩০৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে বলে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।

কিন্তু উপজেলায় ২০১৭ সালের জেএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের কারণে শষ্কায় আছেন অভিভাবকরা!

ধনবাড়ী উপজেলায় জেনারেল,মাদ্রাসা,কারিগরি ভোকেশনাল এ ভ্যানু সহ মোট ৬ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৩০৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে। ধনবাড়ী উপজেলায় এবার ২০১৮ইং সালের জে এসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মোট ৩৫ বিদ্যালয়।

এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান ফলাফলের দিকে এগিয়ে থাকলেও বেশীর ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলাফলে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে ধনবাড়ী পৌর শহরের সিটি স্কুলের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১০ জন শিক্ষার্থী তার মধ্যে ১ জন পাস করলেও বাকী ৯ জনই ফেল করেছে। গোবিন্দ চরণ নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২৩ জন শিক্ষার্থী তার মধ্যে ৬ জন পাস করলেও বাকী ১৭ জনই ফেল করেছে।

অপরদিকে, ২০১৭ সালের জেএসসি পরীক্ষায় সাকিনা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও ৩৬ জন পাশ করলেও বাকী অর্ধেকই ফেল করেছে। বাজিতপুর আমির হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ জন পরীক্ষার্থী পাশ করলেও বাকী ২৪ জনই ফেল করেছে।

চরপাড়া মোহাম্মদ আলী নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৩ জন পাশ করলেও বাকী ৯ জনই ফেল করেছে। বিবিজি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল ১৫ জন শিক্ষার্থী পাস করলেও ২৯ জন ফেল করেছে। নরিল্যা নিম্ম মাধ্যমিকে বালিকা বিদ্যালয়ে ১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন পাশ করলেও বাকী ৯ জনই ফেল করেছে।

গাড়াখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৩ জন পরীক্ষার্থী ১৪ জন পরীক্ষার্থী পাশ করলেও বাকী ৩৯ জন শিক্ষার্থীই ফেল করেছে। ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২৮৭ জন শিক্ষার্থী তার মধ্যে ১৯০ জন পাস করলেও বাকী ৯৭ জনই ফেল করেছে পাশের হার ৬৬.২, এ প্লাস পেয়েছে ৩৭ জি.পি.এ ৫ এর হার ১৯.৪৭৪।

ধনবাড়ী কলেজিয়েট স্কুলে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০২ জন শিক্ষার্থী তার মধ্যে ১৮৬ জন পাস করলেও বাকী ১৬ জনই ফেল করেছে পাশের হার ৯২.১, এ প্লাস পেয়েছে ৬৪ জি.পি.এ ৫ এর হার ৩৪.৪০৯।

মমতাজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৫২ জন এখানে পাশের হার শতভাগ, এ প্লাস ৮, জি.পি.এ ১৫.৩৮৫। বি এস বি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৬৮ জন এখানে পাশের হার শতভাগ, এ প্লাস ১৫, জি.পি.এ ২২.০৫৯।

উপজেলার বাকী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো তেমন ভাল ফল করতে পারিনি বলে শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে।
ধনবাড়ী সিটি স্কুলের কয়েক অভিভাবক জানান, ধনবাড়ী উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে সিটি স্কুলের অবস্থান হলেও পরীক্ষায় ফেলের দিকে এগিয়ে আছে। এই স্কুলের পরীক্ষার্থী ছিল ১০ জন ১ জন ব্যাতীত বাকী ৯ জনই ফেল করেছে। এখানে তো শিক্ষকদের উদাসীনতার কারণেই ফলাফলের বিপর্যয় ঘটেছে।

ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন এর কয়েক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান এই প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহ্য থাকলেও শিক্ষকদের উদাসীনতার কারণে ফলাফল তেমন ভালো হয়নি। কিন্তু পৌর শহরের কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির ভালো তদারকির কারণে ভালো ফলাফল হয়েছে।

উপজেলার অনেক অভিভাবকরা জানান, জেএসসির ফলাফল বিপর্যয় হওয়ায় আমরা শষ্কায় আছি।

সচেতন মহল মনে করছে এবার ধনবাড়ী উপজেলায় জেএসসির ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে তাতে করে এবার এস এস সি পরীক্ষার শতভাগ ফলাফল ও মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হবে কিনা তা নিয়ে আমাদের ধনবাড়ী-মধুপুর আসনের আভিভাবক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিড়িয়াম সদস্য ড.মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি সহ সকল অভিভবাকদের আশা প্রত্যাশা শংষ্কার মধ্যে রয়েছে।