বাঘিল কৃষ্ণ কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে

নিয়োগের আগেই ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২ | ৩৮৫

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল কৃষ্ণ কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদানের আগেই লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও গর্ভনিংবডির সভাপতির বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন অফিস সহায়ক মো. শামীম আল মামুন বাদি হয়ে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লোকমান হোসেন, সভাপতি আক্তারুজ্জামান চঞ্চল, অভিভাবক সদস্য হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন শামীম আল মামুন। এ বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। 

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে শ্রীফলিয়াটা গ্রামের মো. আ. রাজ্জাকের ছেলে মো. শামীম আল মামুন খন্ডকালিন অফিস সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অফিস সহায়ক পদে গত ৮ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত পদে শামীম আলম মামুন নিয়োগের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। শামীম আল মামুনের অভিযোগ, চাকরির জন্য প্রধান শিক্ষক ১২ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছয় লাখ টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে শামীম আলম মামুনের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে এক লাখ টাকা করে নেন। কিন্তু গত ১ ডিসেম্বর আবেদন পত্র যাচাই বাছাই করার সময় শামীম আল মামুনের আবেদনটি বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। গত মঙ্গলবার শামীম আল মামুন খন্ডকালীন অফিস সহায়ক হিসেবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও অভিভাবক সদস্য বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন। 

লিখিত অভিযোগে শামীম আল মামুন আরও উল্লেখ করেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টরা টাকার বিনিময়ে সিন্ডিকেট করে জাল সার্টিফিকেট প্রমাণ হওয়া সত্বেও শিক্ষক আব্দুল মান্নানকে বহাল রেখেছেন। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. লোকমান হোসেন বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে কারো কাছ থেকে কোন টাকা চাওয়া বা নেয়া হয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আক্তারুজ্জামান চঞ্চল বলেন, জাল সার্টিফিটেক প্রমাণিত হওয়ায় খন্ডকালীন অফিস সহায়ক মো. শামীম আল মামুনের আবেদন শিক্ষা অফিসার বাতিল করেছেন। তার কাছে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোন টাকা দাবি করিনি। প্রধান শিক্ষক কোন টাকা দাবি করছে কিনা তা আমার জানা নেই। সে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এছাড়াও আব্দুল মান্নান উচ্চ আদালতের মাধ্যমে তার পদ ফিরে পেয়েছেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম বলেন, সহকারি পরিদর্শক বিথী খান আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রির্পোট পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।