মাওলানা ভাসানী’র ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২ | ৫০৮

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মওলানা ভাসানীর চেতনা ও বিশ্বাস’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়।  

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী স্টাডিজ কোর্সের শিক্ষক ও মাওলানা ভাসানীর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ ইরফানুল বারী।

মূখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুস্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামান।

সভাপতিত্ব করেন সেমিনার উপ-কমিটির আহবায়ক ও মাওলানা ভাসানী রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আজিজুল হক।অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল হক, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আনিসুর রহমান, ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোছাঃ নুরজাহান খাতুন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাঃ তৌহিদুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সেমিনার আয়োজন কমিটির সদস্য-সচিব ড. মোঃ ইশতিয়াক আহমেদ তালুকদার।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমনা শারমিন।  

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, মাওলানা আজীবন সমাজের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পক্ষে থেকেছেন। মানুষের প্রতি দরদ-ভালোবাসাই ছিল তাঁর রাজনীতির মূলে। যথাযথই তিনি ছিলেন মজলুম জননেতা। তিনি সমাজতান্ত্রিক সমাজ চাইতেন ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মানসে। শিক্ষা নয়, তত্ত্ব নয়-নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝে নিয়েছিলেন সমাজ-বিপ্লব ছাড়া সমাজতন্ত্র আসবে না।

বক্তব্যরা আরও বলেন, পুথিঁগত বিদ্যায় বিদ্বান ছিলেন না তিনি। কিন্তু ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতা। তিনি অসাম্প্রদায়িক ছিলেন পুরাপুরি, নিজ ধর্ম বিশ্বাসের প্রতি অনুগত থেকেও। কারণ, তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন, ধর্ম সব মানুষের জন্য, শুধুমাত্র ধর্মের্র অনসুারীদের জন্য নয়। এতদূর তিনি অগ্রসর ছিলেন এজন্যে যে, তিনি ইসলামের আচার-সর্বস্ব অনসুারী ছিলেন না, তিনি সুফিবাদে বিশ্বাসী এবং একজন সুফি-ইসলামের অনুশীলনকারী। এভাবেই তিনি উদার, মানবতাবাদী, অসাম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন।