চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবিতে মাভাবিপ্রবি’র ভাইস-চ্যান্সেলরকে দুইদিন ধরে অবরুদ্ধ


টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেনকে চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবিতে দুই ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারীরা।
তৃতীয় শ্রেণীতে এ্যাডহক ভিত্তিতে কর্মরত ২২জন কর্মচারীর চাকুরী স্থায়ীকরণের দাবিতে বুধবার ( ৩ নভেম্বর) সকালে ভাইস-চ্যান্সলরের (ভিসি) কার্যালয় তালাবদ্ধ করা হয়।
আন্দোলনকারীরা জানায়, গত (৩০ অক্টোবর) তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উক্ত স্মারকলিপিতে ১৪ দফা দাবি জানানো হয়।
এছাড়া স্মারকলিপি প্রদানের পরেও কেয়ারটেকার পদের নিয়োগ বোর্ড রাখায় তারা ভাইস-চ্যান্সেলরের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী ও তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান জানান, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির কার্যকরী পরিষদ ৩৯তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৩য় শ্রেণীর সকল সদস্য কর্মবিরতি পালন করবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, ছাত্র-ছাত্রী সংশ্লিষ্ট এবং জরুরী সেবা সমূহ চালু থাকবে। এছাড়া অন্যান্য সকল পরিবহন সেবা বন্ধ থাকবে। ৩য় শ্রেণীর আন্দোলনের সাথে ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতিও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, অভ্যন্তরীণ রিজেন্ট বোর্ড সদস্য, ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ আন্দোলনকারীদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করলেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ভাইস-চ্যান্সেলর তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, ওদের দাবীটা একে বাড়েই অযৌক্তিক, আমি জানি না তারা কোন অদৃশ্য শক্তির বলে এ কাজ গুলো করছে। আমার ১৫টি পোষ্ট রয়েছে আর তারা দাবি করেছে ২২টি এ দাবি কি মানা যায়,এটা পৃথিবীতে কেউ পারবে কিনা আমি জানি না। ১৫টি পোষ্ট জন্য তারা ২২টি পোষ্ট দাবি করে কিভাবে।
তিনি আরোও বলেন, আমি একটা মানুষ আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে,আমাকে বন্ধী করে রাখা আমার স্বাধীনতাকে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, আমি মনে করি এটা জাতীয় আইনের বিপক্ষে কাজ করা হচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার যদি আলোচনার সমাধান না হয় তাহলে আমাকে হাট লাইনে যেতে হবে। আমি হাট লাইনে যাবার আগে চেষ্টা করছি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার।