টাঙ্গাইলে সড়ক দূর্ঘটনায় ৬ জন নিহত 

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২ | ৪৪৯

টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু পুর্বপারের গোল চত্ত্বরে সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিশু ও এক নারীসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একতা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ও একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংর্ঘষে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মাইক্রোবাসে থাকা চালক, একজন পুরুষ ও একজন নারী যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর বাস যাত্রীদের মধ্যে দুই শিশু ও একজন পুরুষ যাত্রী হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্যেশে ছেড়ে আসা একতা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্ব পাড়ের গোল চত্তর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের লেন পরিবর্তন করে বিপরীত লেনে এসে পড়ে । এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী একটি মাইক্রেবাসের উপরে উঠে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই তিন জন এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো তিনজন মারা যায়। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা কতৃপক্ষের। 

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে আসি। এসে দেখি মাইক্রো গাড়ি ও বাসের যাত্রীরা চিৎকার করছে। আমাদের বিবিএর রেসকিউ টিম এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এখানে যারা আহত ছিলেন আমাদের ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে তাদের সাথে সাথে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। এছাড়া যারা ঘটনাস্থলে নিহত হয় তাদের মরদেহ থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। 

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, যে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। প্রাথমিক ভাবে আমরা ধারণা করছি ঢাকা মুখি একতা পরিবহনের যে বাসটি বাম লেন দিয়ে যাচ্ছিলো এটি কোন যান্ত্রীক ত্রুটি বা ব্রেকফেল করে লেন পরিবর্তন হয়ে উত্তরবঙ্গ মুখি লেনে প্রবেশ করে। কিন্তু উত্তরবঙ্গমুখি লেনে যে মাইক্রোবাসটি যাচ্ছছিল তখন ওই বাসের সাখে মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ছয় জনের মৃত্যু হয়। যে সকল পরিবারের সদস্যরা এখানে নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা থানায় আসলে আমারা আইনগত সহায়তা প্রদান করবো। নিহতদের মরদেহ পুলিশের তত্বাবধায়নে রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে পরিচয় নিশ্চিত হবার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। দূর্ঘটনাটি কেন ঘটলো তার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ’র সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দূর্ঘটনায় যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসা সরকারী হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য যদি অতিরিক্ত ওষুধের প্রয়োজন হলে তা জেলা প্রশাসন বহন করবে।