টাঙ্গাইলে যুব প্রতিনিধিদের সাথে ডরপ’র আলোচনা সভা


বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দি রুরাল পুয়র-ডরপ’র উদ্যোগে যুব প্রতিনিধিদের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত খসড়া করণীয় বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে ৩০ জন যুবদের নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় ডরপ’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন।
এতে বক্তব্য রাখেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমন্টে অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পূওর (ডরপ) এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ডরপ টাঙ্গাইল জেলার ফ্যাসিলেটেটর জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন বলেন, “ডরপ কর্তৃক উপস্থাপিত আলোচ্য বিষয় গুলো আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তরুণদের অধপতনের শুরুটা হয় ধূমপান দিয়ে। অথচ একটা জাতিকে নেতৃত্ব দেয় এই তরুণরাই। সুতরাং কিশোর ও তরুণদের সকল প্রকার তামাক জাত দ্রব্য থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত খসড়া বিশেষ করে ‘ই-সিগারেট উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠ পোষকতা, বিপণন, বিতরণ, ক্রয়-বিক্রয়, ও পরিবহন করার বিধি-নিষেধ’ এবং ‘ক্রেতার নিকট বিক্রয়ের সময় ব্যতীত বিক্রয় স্থলে সকল ধরনের তামাক জাত দ্রব্য বা এর মোড়ক বা প্যাকেট দৃষ্টির আড়ালে রাখার বিধি-নিষেধ’ প্রশংসার দাবি রাখে।
বিশেষ অতিথি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুব উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেন বলেই সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ,সংশোধন এবং বাস্তবায়ন ছাড়াও যুবদের ভালো কাজে সম্পৃক্ত করার জন্য নানা কার্যক্রম ও প্রকল্প হাতে নিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত খসড়া চুড়ান্ত হলে তা কিশোর-তরুণ ও যুবদের মাঝে তামাক জাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে।”
এছাড়া ডরপ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী যুব সদস্য বৃন্দ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত খসড়া দ্রুত চুড়ান্ত করার দাবি জানান এবং অলোচনার বিষয় গুলো নিয়ে তাদের বন্ধু মহল ও পাড়া-মহল্লায় আলোচনা করার অঙ্গীকার করেন।