নাগরপুরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ 

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:০৬ এএম, রোববার, ২৪ জুলাই ২০২২ | ৪১২

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ১০ বছরের শারীরিক প্রতিবন্দী শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার ২২ জুলাই দুপুরে উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের ভোর বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণকারী ভোর বাজারের মুদি দোকানি মৃত্য জিতেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে কৃষ্ণ দাস (৫৫)।

ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায় করেন। ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর  এলাকার প্রভাবশালীরা।  

এলাকাবাসী ও ভিকটিম জানান, মশুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী। সে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী । তার বাবা চা বিক্রি করে কোন রকম সংসার চালায়। প্রতিদিন দুপুরে মেয়েকে দোকানে বসিয়ে রেখে বাড়ীতে খাবার ক্ষেতে যায়। শুক্রবার মেয়ে রেখে  জুমার নামাজে চলে গেলে লম্পট কৃষ্ণ দাস নিজ দোকান থেকে বের হয়ে ওই চা দোকানে আসে। নামাজের সময় বাজারে লোকজন না থাকায় কৃষ্ণ দাস শিশু মেয়েটিকে ডেকে তার দোকানের ভিতর নিয়ে যায়।

এদিকে কয়জন যুবক চা খাওয়ার জন্য দোকানে আসলে দোকানদারকে না পেয়ে একটু সামনে কৃষ্ণ দাসের দোকানে পানি কিনতে গেলে দোকানের ভিতর থেকে মেয়েটির কান্নার শব্দ শুনতে পায়। তখন ওই যুবকরা কৃষ্ণ দাসকে আটক করে। কৃষ্ণ দাস যুবকদের বলে মেয়েটি ভুষির জন্য তার দোকানে আসছিল। শিশু মেয়েটির কাছে ঘটনা শুনার ফাঁকে কৃষ্ণ দাস কৌশলে পালিয়ে যায়।  

ভিকটিমের বাবা বলেন, আমার মেয়েটি শারিরিক প্রতিবন্ধী । আমি গরীর মানুষ চা বিক্রি করে খাই। আমার মেয়েকে যে নষ্ট করছে তার কঠিন বিচার চাই।

বেকড়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত হোসেন বলেন, আমি ঘটনা শুনে বেকড়া ভোর বাজারে আসি। মেয়েটির বাবা ও তার আতœয়ীস্বজন আমাকে ধর্ষনের বিষয়টি খুলে বলে। ভিকটিমের পরিবারকে দ্রুত নাগরপুর থানায় পাঠাই।

নাগরপুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায় করেছে। ভিকটিমের মেডিকেল করা হয়েছে । কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে । দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।