নৌকার নির্বাচনী সভার ভিডিও করায় যুবলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২ | ৩৯৮

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নৌকার নির্বাচনী সভার ভিডিও ধারন করার অপরাধে যুবলীগ নেতা তোজাম্মেল হোসেন তালুকদার টিটুকে মারধর করেছে ফতেপুর ইউপি নির্বাচনের নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাজী আব্দুর রউফ মিয়া।

বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন উপজেলা যুবলীগের আহবায় কমিটির সদস্য তোজাম্মেল হোসেন তালুকদার টিটু। এসময় হাজী আব্দুর রউফ ও তার ছেলে আলামিন টিটুর মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগে প্রকাশ।

যুবলীগ নেতা তার অভিযোগে বলেন, বুধবার বিকেলে কুরনি বাজারে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের আ.লীগের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগ নেতা টিটু ওই সভায় উপস্থিত হয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন। এসময় নৌকার প্রার্থী হাজী আব্দুর রউফ ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আলামিন মঞ্চ থেকে নেমে এসে টিটুকে মারধর করে মোবইল ফোন ও পকেটে থাকা এক লাখ ছিনিয়ে নেয়। 

পরে টিটু ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী সভায় উপস্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর গাড়ির গতিরোধ করলে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন ফেরত দিতে বাধ্য হয়।

যুবলীগ নেতা টিটু আ.লীগে অনুপবেশকারী ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী আব্দুর রউফকে আ.লীগ থেকে বহিস্কারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা টিটুর মামা সিহাবুদ্দিন সিন্টু, চাচাতো ভাই আব্দুল কাদের ও ময়নাল হক, ভাতিজা নাহিদ ও শুভ উপস্থিত ছিলেন। 

নৌকার প্রার্থী হাজী আব্দুর রউফ বলেন, টিটুর ভাই হুমায়ুন তালুকদার সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফতেপুর ইউপি নির্বাচনে প্রচারনা চালাচ্ছেন। নৌকার নির্বাচনী সভার ভিডিও করায় সভায় উপস্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু তাকে ধমক দেন। এসময় টিটু দৌরে পালানোর সময় উপস্থিত কর্মী সমর্থকরা তাকে ধরে মারধর করে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, যুবলীগ নেতা টিুটুকে আমি চিনতাম না। তাকে মারধরের ঘটনার পর চিনতে পারলাম।