টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কাউন্টার এখন স্টেশন মাস্টারের কক্ষ !

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২ | ৮৫২

ট্রেনে ভ্রমণকারী যেকোন যাত্রীই স্টেশনে টিকেট সংগ্রহ করতে টিকেট কাউন্টারের সামনে লাইনে দাড়াঁবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে বেশির ভাগ যাত্রীই টিকেট নেওয়ার জন্য প্রবেশ করে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে। আর বিধি বহির্ভূতভাবে স্টেশন মাস্টারের কক্ষটিই এখন কাউন্টার হিসেবে পরিণত করেছেন টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশন এর ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মো. সোহেল খান। জানা যায়, বেশ কয়েক বছর যাবৎ আগেও তিনি সহকারী স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব পালনকালে টিকেট কালোবাজারির সময় গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হওয়ার পর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে কিছু দিন যাওয়ার পরই তিনি আবারও বেপোরোয়া হয়ে সক্রিয় উঠে টিকেট কালোবাজারির এই অপরাধের সাথে।

ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মো. সোহেল খান তার নেতৃত্বে টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে একটি বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তার সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল আলীম, পি-ম্যান তারেক আহমদ, ফজলু রহমান এবং স্টেশন চত্ত্বরের চায়ের দোকানদার আজাহার। এই বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে স্টেশন মাস্টারের কক্ষটিই এখন পরিণত হয়েছে টিকেট কাউন্টার হিসেবে। এমনটাই মনে করছেন স্টেশন থেকে বিভিন্নগামী ট্রেণে ভ্রমণ করা যাত্রীরা। 

টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িঁয়ে টিকেট পাওয়া না গেলেও অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষ এবং স্টেশন চত্ত্বরের দোকানগুলো থেকে সিটসহ টিকেট মিলে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। এছাড়া কোন যাত্রী যদি এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের ফোন দিয়ে টিকেট কাটার জন্য কনফার্ম করে দেয়। তাহলে ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পূর্বে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষ থেকে টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন। দীর্ঘ দিনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে। যাত্রীরাও অনেকটা জিম্মি এই সিন্ডিকেটের কাছে। যাত্রীরা বলেন, কি করবো ভাই। দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িঁয়ে টিকেট পাওয়া যায় না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই স্টেশন মাস্টারের কক্ষ থেকে সিট সহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করি।

সরেজমিনে ২২ মার্চ সকালে টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে অনুসন্ধানে গেলে প্রত্যক্ষভাবে টিকেট কালোবাজির বিষয়টি প্রতিবেদকের নজরে আসে। সুরুজ গ্রামের বয়স্ক এক বৃদ্ধা ইব্রাহীম ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে যায়। তখন পি-ম্যান (পয়েন্টসম্যান) তারেক আহমেদ এবং সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল আলীম ওই কক্ষে ছিল। পি-ম্যান তারেক বৃদ্ধা সেই যাত্রীর কাছে টাঙ্গাইল কমিউটার এর সাধারণ শোভন শ্রেণির ৯৫ টাকার একটি টিকেট বিক্রি করেন ১৫০ টাকায়। টিকেট নম্বর ক নং ০০০১৬৭, যাহার আসন নং খ-৮। এই টিকেট টি দিয়ে তাকে বলেন আপনি এই টিকেট দিয়ে একতা এক্সপ্রেসে চলে যাইয়েন। ’

ভুক্তভোগী ইব্রাহীম বলেন, ‘আমি তাকে ৫০০ টাকা দিছি। সে আমাকে ৩৫০ টাকা ফেরত দিয়ে টাঙ্গাইল কমিউটার এর এই টিকেট টা দেয়। আমি তো বয়ষ্ক মানুষ। আমি বিষয়টি বুঝতে পারি নি।’
২৫ মার্চ ঢাকা গামী আরেক যাত্রী সাইফুল ইসলাম (ছদ্ম নাম) এর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, টিকেট কাউন্টারের সামনে যে দীর্ঘ লাইন । এই লাইনে দাড়িঁয়ে টিকেট কাটতে কাটতে ট্রেনই চলে আসবে। তাই স্টেশন মাস্টারের কক্ষ থেকেই বাধ্য হয়েই নিয়মিত টিকেট কিনি। ৯৫ টাকার টিকেট ১৫০ টাকা দিয়ে কিনে আনলাম।’

২৫ মার্চ ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মো. সোহল খান পি-ম্যান তারেক আহমেদকে নিয়ে তার কক্ষেই ডিউটি পালন করছিলেন। আর এই ডিউটি পালন করার ফাঁকে ফাঁকে একাধিক যাত্রীর কাছ থেকে তার কক্ষ থেকেই টিকেট বিক্রি করা হয়েছে। টাঙ্গাইল কমিউটার এর সাধারণ শোভন শ্রেণির ৯৫ টাকার একটি টিকেট বিক্রি করেন ১৫০ টাকায়। যে কোন এক যাত্রীর শোভন শ্রেণির টিকেট নম্বর ক নং ০০০৩৬৫, যাহার আসন নং খ-৪৫।

২৯ মার্চ পুণরায় টাঙ্গাইল রেলওয়ে ষ্টেশনে অনুসন্ধানে গেলে স্টেশনের দোকান এর সামনে কথা হয় ঘারিন্দা ইউনিয়নের বয়স্ক বৃদ্ধা কিসমত এর সাথে। তিনি বলেন একটা টিকেট দুইবার বেচা হয়। আমি বেচলাম আপনার কাছে, আপনি বেচলেন আরেক জনের কাছে। এই কাজ স্টেশনের লোকেরাই করে।’

কথা হয় ঢাকাগামী আরেক যাত্রী নুরু মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের টিকেটও ঠিকমত পাই না। দেশে জানি কি হইয়া গেছে গা। আমি রেগুলার স্টেশনে যাতায়াত করি না। মূলত এই হয়রানির জন্যই কম আসি।’

২৯ মার্চ আনুমানিক সকাল ৭.৪৫ মিনিটে স্টেশন চত্ত্বরের পোড়াপাড়ী মিষ্টি মুখ এন্ড সুইটস এর দোকানে মিষ্টি খাওয়ার সময় প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে দোকানদারকে সারা দিনের ঢাকাগামী যেকোন একটি ট্রেনের টিকেট ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। তখন তিনি আজাহার ভাইকে ডেকে দেন। আজাহার ভাই এর পরিচয় মিষ্টির দোকানদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজাহার ভাই পুলিশদের সর্দার। পাশেই তার দোকান রয়েছে। ততক্ষণে আজাহার মিষ্টির দোকানে চলে আসে। মিষ্টির দোকানদার আমার একটা টিকেটের ব্যবস্থা করার কথা বলার সাথে সাথেই আজাহার বলেন, ২৫০ টাকা লাগবো। কিছু কম রাখা যাবে কিনা জিজ্ঞেস করার সময় তিনি বলেন, কোন কম হবো না। বিকেল ৪ টায় চিত্রা এক্সপ্রেসের তিনটা সিট একত্রে আছে। তার মধ্যে আপনাকে একটা দিমু। আপনি ২৫০ টাকা রাইখা যান।

স্টেশন চত্ত্বরের চায়ের দোকানদার আজাহার এর কাছে যাত্রী সেজে ২৯ মার্চ সকালে ফোন দিয়ে তিনটা টিকেট চাইতেই তিনি বলেন, আপনি কোন সময় ঢাকায় যাবেন। বিকেল চারটায় চিত্রা এক্সপ্রেসের তিনটা টিকেট দেওয়া যাবে। তিনটা টিকেটের দাম ৬০০ টাকা লাগবে। আপনি এক্ষুনি লোক পাঠিয়ে দেন। আমি ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’

চায়ের দোকানদার আজাহার এর কাছে ঐ দিনই কিছু সময় পর সাংবাদিক পরিচয়ে তার দীর্ঘদিন ধরে এই টিকেট কালোবাজারির সাথে সম্পৃক্ত থাকার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ভাই আপনি স্টেশনে আইসেন। আপনার চা খাওয়ার দাওয়াত রইলো। আমাকে একটা সুযোগ দেন ভাই। আমি কোন দিন আর এই কাম করমু না।’

৩ এপ্রিল সকাল ৭ টায় আবারো টাঙ্গাইল রেলওয়ে ষ্টেশনে অনুসন্ধানে গেলে স্টেশন চত্ত্বরের পোড়াপাড়ী মিষ্টি মুখ এন্ড সুইটস এর সুমন বাকালী এবং চায়ের দোকানদার আজাহার বেশ কয়েকটি টিকেট হাতে নিয়ে কথা বলতেছিল। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে মিষ্টির দোকানদার সাথে সাথেই টিকেটগুলো তার ড্রয়ারে রেখে দেয় এবং চায়ের দোকানদার আজাহার দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

পোড়াপাড়ী মিষ্টি মুখ এন্ড সুইটস এর সুমন বাকালী বলেন, ‘আমি টিকেট কালোবাজির সাথে নাই। আমি লোড দেই এবং বিকাশ করি। আজাহার ভাই একটু আগে আইসা বললো দেহছো এগুলো আজকের টিকেট নাকি। সে লেখাপড়া জানে না। আমি তাকে বারবার বলছি তুমি আমার কাছে আইবা না। আমি এইসব ঝোড়-ঝামেলা পছন্দ করি না এবং আমি যাতে বিপদে না পড়ি। তারপরও আজকে সে টিকেটগুলো নিয়ে আমার কাছে আইছে। সুমন বাকালীর ড্রয়ারে আজাহার ক্যান টিকেট দিলো এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজাহার ভাই আমার ড্রয়ারে টিকেট দেয় নি। সে আমার ড্রয়ার এর ওপর টিকেটগুলো রেখেছে। যারে ধরা দরকার তারে ধরলেন না।’

টাঙ্গাইল স্টেশন মাস্টরের কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল আলীম দায়িত্ব পালন করতেছেন। তার একটি বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি রাজি হন। তার বক্তব্য নেওয়ার আগেই সেখানে হাজির হন পি-ম্যান (পয়েন্টসম্যান) ফজলু রহমান। প্রতিবেদক পি-ম্যান ফজলু রহমানকে জিজ্ঞেস করেন আপনিই তো সেই পি-ম্যান ফজলু রহমান। এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই ফজলুর রহমান রাগান্বিত হয়ে পড়েন। সহকারী স্টেশন মাস্টরকে প্রশ্ন করার আগেই তিনি বলেন, আমার পার্সোনাল নম্বর আপনাকে ক্যাডা দিলো। ফজলু রহমান তো এই স্টেশন এ একজনই সেই ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ফজলু স্টেশনে একজন নাকি অনেকজন সেটা আপনি জানলেন কিভাবে। ফজলু রহমান টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে একজনই এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা নাকি প্রতিবেদকের অপরাধ হয়েছেও বলে তিনি তাৎক্ষনিক মন্তব্য করেন। এরপর ফজলুকে প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয় ভাই আপনার সাথে পরে কথা বলি। সহকারী স্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল আলীমকে টিকেট কালোবাজারির সাথে তার সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এই অভিযোগ আপনি ক্যান করবেন। এই অভিযোগ করবে আমার প্রশাসন অথবা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।’ এর মধ্যেই পি-ম্যান ফজলু রহমান প্রতিবেদককে বলেন, আপনার প্রশ্ন করার ভাষা ঠিক নেই। পি-ম্যান এর আক্রমনাত্মক কথা বার্তা শুনে প্রতিবেদক স্টেশন মাস্টারের কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে। পি-ম্যান ফজলু রহমান এর ভূমিকায় মনে হয়েছে সেই টাঙ্গাইল স্টেশনের প্রধান কর্মকর্তা।

টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনের পি-ম্যান (পয়েন্টসম্যান) তারেক আহমেদকে টিকেট কালোবাজারির সাথ সম্পৃক্ত থাকার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি তো গাড়িতে কথা বুঝা যাচ্ছে না। আপনি স্টেশন মাস্টারের সাথে কথা বলেন।’ পরে সে পুণরায় কল দিয়ে প্রতিবেদককে বলেন, ভাই আপনি সন্ধ্যায় স্টেশনে আইসেন। আপনার সাথে সাক্ষাতে কথা বলবো।’

পি-ম্যান এর দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে আইন এর বিধি বর্হিভূতভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ টিকেট চেকারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ফজলু রহমান। এ বিষয়ে তার বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি ভুল বুঝতেছেন। যদি লোকবল কম থাকে তাহলে স্টেশন মাস্টারের নির্দেশে আমি টিকেট চেক করে থাকি। এছাড়া তার কাছে টিকেট কালোবাজির বিষয়টি জানতে চাওয়ার আগেই তিনি মুঠোফোনটি কেটে দেন।’

টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশন এর ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মো. সোহেল খান বলেন, ‘অতিরিক্ত দামে টিকেট বিক্রি করা মূলত অন্যায়। এভাবে আসলে টিকেট বিক্রি করা ঠিক না। অনেক যাত্রীই আমাদের কাছ থেকে টিকেট নেয় এটা সত্য। কিন্তু কেউ যদি খুশি হয়ে দশ বিশ টাকা বেশি দেয় তাহলে আমরা নেই। নিউজ না করে তিনি সকলকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন। আমার সম্মুখে বিক্রি হয়েছে কিন্তু আমার দ্বারা তো বিক্রি হয়নি। পি-ম্যান এর কোন দিনই টিকেট চেক করার নিয়ম নেই। আমার পক্ষ থেকে পি-ম্যান ফজলুকে কখনোই টিকেট চেক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আমার অবর্তমানে যদি কেউ কিছু বলে সেটা আমি অবগত নই। এ বিষয়টা আমার ওপর ছেড়ে দেন, আমি দেখতেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে কোন কোন ষ্টেশনে আট ঘন্টার বেশি ডিউটি না করার নির্দেশনার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে তো আপনি ঘাটাঘাটি করতে পারেন না। এটা আমাদের অফিসাররা দেখবে। এছাড়া এর অগে টিকেট কালোবাজারি সময় গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হওয়ার পর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এই ঘটনা সত্য নয়।’

টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনের এই বিশাল সিন্ডিকেটের ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন এর নিকট বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়গুলো আগে জানতাম না। আপনি বললেন, আপনার মাধ্যমেই বিষয়টি আমি অবগত হলাম। যারা এই অপরাধগুলোর সাথে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আমি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।’