মিয়ানমার বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র


রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পরিচালিত সহিংসতা গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সমতুল্য বলে জো বাইডেন প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা রয়টার্সকে একথা বলেছেন।
আন্দোলনকর্মীরা বলছেন, এ পদক্ষেপটি মিয়ানমার জান্তার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনের ইউএস হলোকস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ওই জাদুঘরে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ নিয়ে একটি প্রদর্শনী চলছে। ব্লিংকেন দায়িত্ব নিয়ে মিয়ানমারের সহিংসতা নতুন করে পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রায় ১৪ মাস পরে এ সিদ্ধান্ত এলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন কর্মকর্তারা রয়টার্সকে বলেছেন, ব্লিঙ্কেন তার নিজস্ব "আইনি এবং বাস্তব ঘটনাভিত্তিক বিশ্লেষণের" আদেশ দিয়েছিলেন। বিশ্লেষণটি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গণহত্যা করছে। ওয়াশিংটন মনে করে এ আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জান্তাকে জবাবদিহিতে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াবে। পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, "এটি তাদের জন্য আগামীতে অত্যাচার-অনাচার চালানো কঠিনতর করে তুলবে। "
এদিকে ওয়াশিংটনে মিয়ানমারের দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং জান্তার একজন মুখপাত্র রবিবার মন্তব্যের অনুরোধ করে পাঠানো রয়টার্সের ইমেইলের জবাব দেননি। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা করার কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স