দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ে বিএনপিকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না- কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী দুই বছর পর নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরোধী দল নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা নানা ধরনের মিথ্যাচার করছে। আমি মনে করি, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। করোনা মহামারির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু এ নিয়ে দেশে এমন কোন কিছু তৈরি হয়নি যে দ্রব্যমূল্য নিয়ে দেশে হাহাকার বা দেশে একটি হৈ চৈ এমন কিছু নয়।
বিএনপি তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা যদি মনে করে এই দ্রব্যমূল্যের সামান্য কিছু উর্ধ্বগতির জন্য দেশে একটা অরাজকতা অবস্থা সৃষ্টি করবে, রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল তৈরি করবে।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে, নিত্যপণ্যের সামান্য দাম বৃদ্ধিকে অতিরঞ্জিত করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির পায়তারা করছে। প্রতিবাদের নাম করে আন্দোলন-কর্মসূচি দিয়ে দেশে অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে। দ্রব্যমূল্যের দাম কিছুটা বাড়লেও দেশে খাদ্যদ্রব্যের কোন হাহাকার নেই, সংকট নেই। এ অবস্থায় বিএনপি যদি মনে করে দ্রব্যমূল্যের কিছুটা দাম বৃদ্ধির জন্য দেশে আন্দোলন সংগ্রাম করবে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে, সেটি তারা কিছুতেই পারবে না। তাদের এ অপপ্রয়াস অতীতের মতো এবারও ব্যর্থতায় পরিণত হবে।
মন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করবে। আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নির্বাচনকে সহযোগিতা করা। যারা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে চায়, দেশে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের রাজনৈতিকভাবে আমরা মোকাবেলা করবো।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া তারা যেভাবে কাজ করছে তাদের এই স্বাধীনতা অব্যাহত থাকবে। তারা স্বাধীনভাবে তাদের মতামত দিতে পারবে। সুশীল সমাজ তাদের স্বাধীনভাবে মতামত দিতে পারবে।
সাবেক সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মনোয়ারা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ছোট মনির এমপিসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
