আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে টাঙ্গাইলে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প
বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পেলেন সহস্রাধিক মানুষ


আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সখীপুর ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দিনব্যাপী উপজেলার তালিমঘরে স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থা কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি-ক্যাম্পস এ মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত রোগীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এতে খুশি স্থানীয়রা।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এখলাসুর রহমান।
ক্যাম্প এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সরকারি সা’দত কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আলীম মাহমুদ, সখীপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, ক্যাম্প এর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি নাসরিন বেগম, নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ান সালেহীন প্রমুখ।
এ সময় বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা উপলক্ষে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষার সুস্থ জীবনধারা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজকরা জানায়, রাজধানী ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ প্রায় ৭০ জন চিকিৎসক রোগীদের ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন।
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক খাইরুনন্নেছা মারিয়া বলেন, আমি ফ্রি ক্যাম্পে এসে মানুষদের চিকিৎসা সেবা দিতে পেরে অনেক খুশি। এতে আমার অনেক ভালো লাগছে। সখীপুর ছাড়াও আশপাশের উপজেলার প্রায় সহস্রাধিক রোগীর মধ্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন ডাক্তাররা।
এছাড়াও রোগীদের বিনামুল্যে ওষুধ সরবরাহ ও প্রায় দুইশ’ রোগীকে চোখের ছানি অপারেশন ও লেন্স প্রতিস্থাপনের জন্যে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যাক্তি বলেন, আমরা বিনামূল্য এখান থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। এখানকার ডাক্তাররা আমাদেরকে খুব যত্নসহকারে দেখেছে। আশপাশের গ্রামের লোজজনও এখান থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে।
ক্যাম্প এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বলেন, ভাষা শহীদদের স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। দেশের সে সকল সাধারণ মানুষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা সেবা করাতে পারে না, আমরা সেই সকল মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। যারা এই ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন, তাদের ১ সপ্তাহ আগেই রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। সেই পরীক্ষা অনুসারে তাদেরকে এ সেবা দেয়া হয়। এ নিয়ে ১৮ বছর ধরে দুস্থ ও দরিদ্র রোগীদের বিনামুল্যে চিকিৎসার সেবা দেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত ৯৭ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। ২ হাজার ৮৫০ জনকে চোখের অপারেশন করানো হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।