‘চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিমে চিকিৎসকরা’

আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগ

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২ | ২১৮

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। এতে করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগে প্রতিদিন ১০-১২ জন শিশুসহ নানা বয়সী রোগী ভর্তি হচ্ছে। এরফলে ঠান্ডাজনিত রোগী অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে শূন্য থেকে ৫ বছর বয়সী ৭৮ জন শিশু এবং নিউমোনিয়া রোগে হয়েছে ৩৩ জন। অপরদিকে, শিশু ছাড়াও নানা বয়সী লোকজন ঠান্ডাজনিত রোগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এদিকে, শয্যা সংকট দেখা দেয়ায় শিশু রোগীদের নিয়ে অভিভাবকরা ছুটছেন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক, কমিউনিটি ক্লিনিক ও হাট-বাজারে ফার্মেসীর দোকানগুলোতে। হাসপাতালে শিশু সন্তানকে নিয়ে আসা যমুনা চরাঞ্চলের গাবসারা ইউনিয়নের কালীপুর গ্রামের এক শিশুর বাবা রহিজ উদ্দিন জানান, সর্দি-কাঁশিতে তার বাচ্চা আক্রান্ত হলে স্থানীয় ডাক্তারদের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে খাওয়াই। কিন্তু ঠান্ডাজ্বর না কমায় হাসপাতালে ভর্তি করি।

হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত একাধিক নার্স জানান, শীতকালে ঠান্ডাজনিত রোগীদের চাপ অনেক বেশি। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। রোগীর পাশাপাশি তাদের স্বজনদের চাপও বেশি। ফলে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেকটা।

হাসপাতালের সিনিয়র (নার্স ইনচার্জ) খালেদা পারভীন বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদেরকে বেগ পেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি শিশুদের প্রতি বাড়তি যতেœর আহ্বান জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহীউদ্দিন জানান- ঠান্ডাজনিত কারণে শিশুরসহ নানা বয়সী লোকজন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাস কষ্ট, সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এরমধ্যে শিশুসহ বয়োজ্যেষ্ঠরাও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদেরকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।