টাঙ্গাইলে সহপাঠী হত্যার বিচার দাবি ও মেয়েদের নিরাপত্তার দাবি শিক্ষার্থীদের

স্টার্ফ রিপোটার
প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, রোববার, ৭ নভেম্বর ২০২১ | ৫৩০

সহপাঠী হত্যার বিচার দাবি, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, ইভটিজিং মুক্ত শিক্ষাঙ্গন এবং রাস্তা-ঘাটের মেয়েদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর আগে ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়ার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে শোক র‌্যালি বের করা হয়েছে। রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে শামসুল হক কলেজের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

এতে বক্তব্য রাখেন এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা, প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম, এলেঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল কবির, লুৎফর মতিন কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, সুমাইয়ার চাচা ফিরোজ মিয়া প্রমুখ। 

এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়াও শামসুল হক কলেজ, লুৎফর রহমান মতিন কলেজ, এলেঙ্গা বিএম কলেজ, জিতেন্দ্রবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও আড়াই সহশ্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। 

একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, এই হত্যাকান্ডে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এছাড়া তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে করতে হবে। অপর দিকে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, ইভটিজিং মুক্ত শিক্ষাঙ্গন এবং রাস্তা-ঘাটের মেয়েদের নিরাপত্তার দাবি জানান ছাত্রীরা। 
নিহত সুমাইয়ার চাচা ফিরোজ মিয়া বলেন, এই হত্যাকান্ডটি একা ঘটানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটকও করেছিলো। আমরা মামলা করার পরও তাদের আদালতে পাঠায়নি। যদি প্রভাবশালী মহলের ইন্দোনে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাদেরও বিচার দাবি করছি। আমরা ধারণা করছি এই হত্যাকান্ডের সাথে কিশোর গাং এর সদস্যরা জড়িত। 

এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, এলেঙ্গা ক্লাব থেকে কিশোর গ্যাং এর সৃষ্টি। এই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা সুমাইয়াকে হত্যা করেছে। এই কিশোর গ্যাং তৈরিতে যারা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে তাদেরও বিচার চাই। যে ছুরি দিয়ে সুমাইয়াকে হত্যা করা হয়েছে সেই ছুরি হাতে নিয়ে ৭২ ঘন্টা আগে কিশোর গ্যাং এর প্রধান মনির টিকটক করেছে। সেই ভিডিওটি প্রশাসনের সকল গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আছে। এছাড়াও ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। এলেঙ্গা শিক্ষা নগরীকে যারা হত্যা নীলা বানাতে চায়। সেই হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করছি। এই ফাঁসির মধ্য দিয়ে এলেঙ্গা আবার শান্তির নগরীতে পরিণত হবে। 

এবিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন মামলাটি তদন্তাধীন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মনির ছাড়া হত্যা কিংবা পরিকল্পনায় অন্য কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর সকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গার কলেজ পাড়া এলাকার খোকনের নির্মাণাধীন বাড়ির নীচতলার সিঁড়িকোঠা থেকে সুমাইয়ার মরদেহ ও আহত অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমাইয়া কালিহাতী পালিমা গ্রামের ফেরদুস আলমের মেয়ে। পরদিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে ফেরদৌস আলম বাদি হয়ে মনিরকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমাইয়া কালিহাতী পালিমা গ্রামের ফেরদুস আলমের মেয়ে। পরদিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে ফেরদৌস আলম বাদি হয়ে মনিরকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।