নাগরপুরে ডির্ভোসকৃত স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান কিশোরীর
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মোবাইল ফোনে দুই বিয়ে করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন সৌদি প্রবাসী হৃদয় মিয়া (২৪)। সে উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।
প্রায় ৬ দিন যাবত ডির্ভোসকৃত স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করছেন প্রথম স্ত্রী। ধর্মীয় আচরণ বহিরভুত কাজ হওয়ায় এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে অসন্তষ।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গয়হাটা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. হৃদয় মিয়া পরিবারের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে প্রায় তিন বছর আগে সৌদি চলে যায়। প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার পিতা একই গ্রামের আব্দুল সালামের কিশোরী মেয়ের সাথে প্রায় দুই বছর আগে ৫ লক্ষ টাকা কাবিন ধার্য্য করে মোবাইল ফোনে ছেলে হৃদয়ের বিয়ে দেন। বিয়ে পর প্রায় এক মাস ১৬ দিন স্বামীর বাড়ীতে সংসার করেন ওই কিশোরী। প্রবাসে থাকা অবস্থায় মেয়ের বাবা ও ভাই মিলে স্বামী হৃদয়কে ডির্ফোস দেওয়ান।
এরপর ছেলের জন্য আবার মেয়ে দেখা শুরু করেন হৃদয়ের বাবা মা। উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের আগতগয়হাটা গ্রামে পূর্নরায় মোবাইল ফোনে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কাবিনের মাধ্যমে প্রবাসী হৃদয় মিয়াকে ২য় বিয়ে করান তারা। হৃদয়ের আসার খবর শুনে গত রবিবার ডির্ভোসকৃত স্ত্রীর বাবা সালাম ও তার মাদকসেবী ছেলে রুবেল মিলে ওই কিশোরীকে হৃদয়ের বাড়ীতে পাঠায়। বিয়ের দাবীতে ডির্ফোসকৃত স্বামীর বাড়ীতে অবস্থান করছেন ওই কিশোরী। এদিকে আগতগয়হাটার দ্বিতীয় স্ত্রীর পিতা মাতা ঘটনা জানতে পেরে তাদের মেয়েকে বাড়ীতে আনার জন্য অনুরোধ করেন। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় । দুপক্ষ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যেকনো সময় ঘটে যেতে পাড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা। আইনশৃংঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে এলাকারবাসীর আশংকা। এলাকাবাসী আরো বলেন সালাম একজন চিহিৃত চোর তার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী। প্রতিনিয়ত তাদের অপকর্মে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। হৃদয় গত বৃহস্পতিবার সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফিয়ে আসেন। আসার পর এই দুটি ঘটনার বিষয় নিয়ে দফায় দফায় চলছে শালিশ বৈঠক।