মার্কিন সেনা প্রত্যাহার দুঃখজনক এবং অপ্রয়োজনীয় ছিল: টনি ব্লেয়ার


তালেবানদের হাতে কাবুলের পতনের পর এ বিষয়ে প্রথমবারের মত মুখ খুললেন সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। বললেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার দুঃখজনক, বিপদজনক এবং অপ্রয়োজনীয় ছিল। চিরন্তন যুদ্ধে’র সমাপ্তি; মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বলা এই উক্তিকে বোকার মত কথা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যক্তিগত ওয়েব সাইটে প্রকাশিত লেখায় সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বলেন, আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনার প্রত্যাহার জিহাদিদেরই খুশি করবে। বৃটিশ সরকারের এখন আফগানিস্তানে থাকা নৈতিক দায়িত্ব যতক্ষণ না নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা সবাইকে সরিয়ে আনা শেষ হয়। যেসব আফগান নাগরিক বৃটিশ সেনাদের সহযোগিতা করেছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া, তাদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব। এটা ইচ্ছা/অনিচ্ছার ব্যাপার নয়, মানবিকতা ও দায়িত্ব।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযান শুরু করে তখন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লেবার পার্টির নেতা টনি ব্লেয়ার। বলা হয়, জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রধান সহযোগী ছিলেন তিনি।
১৫ আগস্ট তালেবানরা কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর দেশত্যাগ করেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। পরে প্রেসিডেন্ট ভবন দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। এরপর নিজ দেশের নাগরিকসহ বিদেশিরা যাতে নিরাপদে আফগানিনস্তান ছাড়তে পারেন সেজন্য সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে মার্কিন সেনারা। সেখানে প্রায় সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনার পাশাপাশি নয়শো বৃটিশ সেনাও নিয়োজিত রয়েছেন।