ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় শহরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১ | ৫১৩

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে দেশের সকল কারখানা ৫ আগষ্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও হঠাৎ করেই আগামী রোববার অর্থাৎ পহেলা আগস্ট থেকে দেশের সকল শিল্প-কারখানা খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন জেলার শ্রমিক ও নানান পেশার লোকজন বিভিন্ন পন্থায় ঢাকাসহ অন্যান্য শিল্প নগরীতে প্রবেশ করছে। শিল্প-কারখানা খোলার ঘোষণায় ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে শিল্প কারখানা খোলার প্রজ্ঞাপন জারি করার পর থেকেই ঢাকামুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড়ে বিভিন্ন এলাকা হতে আগত  শহরমুখী শ্রমিকদের সমাগম। শ্রমিকদের আগমন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জ্যামিতিকহারে যেন বেড়েই চলছে। কঠোর বিধি-নিষেধ চলাকালীন সময়ে হঠাৎ কারখানা খোলার ঘোষণা ও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। তাই তারা যে যেভাবে পারছে গ্রাম থেকে ঢাকার দিকে ছুটে আসছে।
 
চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে বন্ধ গণপরিবহণ কিন্তু থেমে নেই মানুষের আগমন। মোটরসাইকেল, সিএনজি, মালবাহী ট্রাক এবং এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা, গাজীপুর ও আশুলিয়ার আশপাশের শিল্প-অঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী জনসাধারণ।
 
গণপরিবহন বন্ধ ও শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে জনসাধারণ। কোন দিকে যাবে? বুঝে উঠতে পারছে না সাধারণ মানুষ । একদিকে ঢাকায় ফিরে আসা অন্যদিকে সময় মত না পৌছালে চাকরি হারানোর ভয়।
 
রাস্তাঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা গেলেও হাইওয়ে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে পুলিশি পাহারা তেমন একটা চোখে পড়েনি।
 
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকার বাসিন্দা ফজর আলী বলেন, 'আমি আশুলিয়া একটি কারখানায় চাকরি করি। বাড়ি থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত আসতে আমার প্রায় দুই হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি পর্যন্ত পিকআপ ভ্যানে চলে এসেছি সেখান থেকে সারাদিন ব্যাপী তিনটি ট্রাক পরিবর্তন করে সন্ধ্যায় চন্দ্রা পৌঁছলাম। আসার পথে বেশ কিছু পথ হেঁটেও আসতে হয়েছে।'
 
লালমনিরহাটের আদিতমারি এলাকার নার্গিস আক্তার বলেন, 'একদিকে লকডাউন আবার আরেকদিকে কারখানা খুলে দিয়েছে। কি আর করার ট্রাকে করেই চন্দ্রা পর্যন্ত চলে আসলাম। এখন এখান থেকে রিকশা-ভ্যানে করে কোনাবাড়ী পর্যন্ত চলে যাব।'
 
কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুকের জানান, ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে কাউকে আসতে দেখি নাই। যদি কেউ এসে থাকে তবে চন্দ্রা পৌঁছানোর আগেই হয়তো নেমে যায়। বিকেলের পর থেকে মানুষের ভীড় অনেক হারে বেড়েছে।