শেষ মুহূর্তে জমজমাট শপিংমলের ঈদ বাজার, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১ | ৩৯৬

আর মাত্র  ২৪ ঘন্টা পর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র  ঈদুল আযহা। তাই প্রচণ্ড গরম এবং  মহামারি করোনা ভাইরাস  উপেক্ষা করে ঈদ উপলক্ষে ধনী-দরিদ্র সব স্তরের মানুষই আপন জনের জন্য  কেনাকাটায় ব‌্যস্ত সময় পার করছে।

সারাদেশের মতো গাজীপুরের কালিয়াকৈরে  বিভিন্ন শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট ও ফুটপাতসহ সবখানে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। সব বয়সের ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে মার্কেটগুলোতে।

সরেজমিনে  বিভিন্ন এলাকা ঘুরে  দেখা যায় , উপজেলার কালিয়াকৈর বাজার,শফিপুর বাজার,মৌচাক বাজার, পল্লী বিদ্যুৎ  এলাকার দোকানপাট বিশেষ করে শপিংমলগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা।

বিশেষ করে কালিয়াকৈর বাজারের বাসন্তী, লক্ষীনারায়ণ, নীলাচল এবং শফিপুর বাজারের স্বপ্ন সুপার শপে,লুবাবা, বিগ বাজার, স্বপ্নপুরী, লেডিস কর্ণার,রুপ মোহনী ফ্যাশন হাউজে  ক্রেতাদের উপচেপরা ভিড় ছিল।

ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য বিক্রেতারা বাহারী ডিজাইনের নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। অনেক মেয়েরাই থ্রি-পিস কেনার পাশাপাশি  কিনছেন তাদের  পছন্দের গহনা এবং কসমেটিকস, রংবেরঙের মেহেদি।

ঈদকে কেন্দ্র করে মার্কেটে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। ঈদের কেনাকাটা বাড়লেও বেশিরভাগ ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির মানার প্রবণতা নেই। বেশীরভাগ দোকানেই দেখা যায়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ছিলোনা সামাজিক দুরত্ব। বেশির ভাগ ক্রেতাদের  মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

বিক্রেতারা বলছেন, সারাদেশে টানা কঠোর  লকডাউন এর কারণে দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ ছিল। মার্কেট খোলার অনুমতি পাওয়ার পর বিক্রি ভালোই হচ্ছিল। তবে কোরবানির ঈদের কারণে সবাই কোরবানীর পশু কেনায় ব্যস্ত। পোশাকের প্রতি আগ্রহ কম।  তুলনামূলকভাবে বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা নাহিদ আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আর বেশি সময় নেই ঈদের। তাই তাড়াতাড়ি করে  মা,স্ত্রী ও মেয়েদের  জন্য জামা কাপড়  কিনলাম। আসলে নতুন জামা ছাড়া  কি ঈদ হয়।’

স্থানীয় পোশাক কারখানায় কর্মরত আফরোজা বেগম বলেন , ‘ লকডাউনের কারণে মার্কেট বন্ধ ছিলো।  ঈদের জন্য সরকার মার্কেট খুলে দিয়েছে। তাই বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। বাচ্চারা তো আর করোনা বুঝে না।
 
শফিপুর বাজারের রুপ মোহনী ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী সবুজ আহমেদ বলেন,‘লকডাউনে তো এত দিন দোকান খুলতে পারিনি। ঈদকে কেন্দ্র করে অল্প কয়েকদিনের জন্য দোকান খুলতে দিয়েছে সরকার। বেচাকেনা অপেক্ষাকৃত ভালো হচ্ছে।

বিগ বাজারের স্বত্বাধিকারী মুমিন আহমেদ বলেন ঈদের পরে সারাদেশে টানা লকডাউনের কথা শুনে সবাই কেনাকাটা কম করে হাতে কিছু টাকা জমিয়ে রাখছে। তাই তুলনামূলক বিক্রি কম।

কালিয়াকৈর  থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা   (ওসি) মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে  উপজেলায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ  বলেন ঈদের বাজার এবং শপিংমলগুলোতে উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত তদারকি করছে ‌। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করার ব্যাপারে প্রতিনিয়ত মাইকিং করা হচ্ছে।