শাকিব খান এর দাম ১৩ লাখ


আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সারা দেশের মত টাঙ্গাইলে ও ছোট বড় খামারে লালন পালন হয়েছে গরু, ছাগল, মহিষ আর ভেড়া। এর মধ্যে একটি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কলেজছাত্র ও তরুণ উদ্যোক্তা জোবায়ের ইসলাম জিসানের খামার। ২৫টি ষাঁড় ও গাভি রয়েছে এই খামারে। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে এই খামারের ৬টি ষাঁড়। যার মধ্যে অন্যতম ষাঁড় শাকিব খান। এরই মধ্যে সাত ফুট উচ্চতা আর ৩১ মণ ওজনের ওই শাকিব খানের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৩ লাখ টাকা।
জানা যায়, দুই বছর সাত মাস আগে তরুণ উদ্যোক্তা জোবায়ের ইসলাম জিসানের খামারেই জন্ম হয় শাকিব খানের। শান্ত প্রকৃতি ও সাদা রঙের হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে ‘শাকিব খান’। শাকিব খান লম্বায় সাত ফিট। ওজন প্রায় ৩১ মণ। বয়স দুই বছর সাত মাস। ফ্রিজিয়াম জাতের ষাঁড় গরু শাকিব খান। ষাঁড়টির নাম শাকিব খান আর বেশি বড় হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে তাকে দেখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে ভিড় করছেন। মাঝে মধ্যে ক্রেতারাও আসছেন ষঁাঁড়টি কিনতে।
খামারী জিসান এই ষাঁড়টির দাম হাঁকাচ্ছেন ১৩ লাখ টাকা। এরই মধ্যে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে তাকে। এবার কোরবানির ঈদে শাকিব খানই এই উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি খামারীর।
শাকিব খানের মালিক জোবায়ের ইসলাম জিসান বলেন, ষাঁড়টি দেখতে সাদা। ষাঁড়টি খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের পরামর্শক্রমে ও কোনও ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছি। এখন ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ৩১মণ। ষাঁড়টির দাম চাচ্ছি ১৩ লাখ টাকা, তবে আলোচনা সাপেক্ষে কিছু কম টাকায়ও বিক্রি করতে পারি।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের শেষের দিকে তিনটি গাভি দিয়ে খামারটি শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে রয়েছে ২৫টি ষাঁড় আর গাভি। এর মধ্যে ৬ টি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারে শাকিব খান ছাড়াও প্রায় একই ওজনের আরও একটি ষাঁড় রয়েছে। তার নাম রাখা হয়েছে ডিপজল। ডিপজল দেখতে কালো। ষাঁড় দুইটির জন্মের পরপরই খামারের ম্যানেজার তাদের নাম রাখে শাকিব খান আর ডিপজল। আমার অবর্তমানে বাবা শফিকুল ইসলাম খামারটি দেখাশোনা করেন। এছাড়াও খামারে একজন কর্মচারি রয়েছে।
বাসাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রৌশনী আকতার বলেন, জিসানের খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা নিয়মিত ষাঁড়টিকে দেখাশোনা করছি। উপজেলায় আমার দেখা এই ষাঁড়টিই সবচেয়ে বড়।