মধুপুরে মেলার নামে চলছে জুয়ার আসর

মধুপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৫৪ পিএম, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৮ | ৫২৫

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আকাশী গ্রামে শীতকালীন আনন্দ মেলার নামে চলছে মাস ব্যাপী জুয়া ও লটারী খেলার আসর।
আগামী ২০ জানুয়ারী ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ক্লাবের আয়োজনে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী লটারী খেলা।

এ খেলা চলবে আগামী ৮ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত। মধুপুর পৌর কমিশনার হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে মাসব্যাপী চলবে এ লটারী খেলা। এভাবে টানা একমাস জুয়া খেলা চলতে থাকলে এলাকার যুব সমাজ বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।

এলাকাবাসী জানান, মধুপুর পৌর কমিশনারের সাথে থানার সম্পর্ক ভাল থাকায় কোটি টাকার লটারী বাণিজ্য করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রাইভেটকার, মোটর সাইকেল, ফ্রিজ, স্বর্ণের গহনা, রঙ্গিণ টেলিভিশন মোবাইলসহ ৩৬ টি আকর্ষনী লোভনীয় প্রচারে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, গ্রাম মহল্যায় লাকী কুপন বিক্রি করে চলছে দৈনিক সুগন্ধা র‌্যাফেয়েল ড্র : এর শতাধীক কর্মী। এ মেলায় ২০ টাকার কুপন বিক্রি করার অনুমতি নিয়ে আয়োজক ও প্রশাসনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার লটারীর অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু আয়োজকরা বলছেন তারা ডিসির অনুমতির জন্য টাঙ্গাইল যাচ্ছেন।

মেলার আয়োজক আঃ বারী জানান, ১০ বছর ধরে আকাশী গ্রামে ঘোড়দৌড় হয়ে আসছে। আর মেলার ১৫ দিন আগে থেকে চলে আনন্দ মেলা। এ মেলায় দুর-দুরান্ত থেকে আসা নানা পেশার মানুষ ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন।

পৌর মেয়র হুমায়ুনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি, এসপি ও ডিসি সবাই লটারীর অনুমতি দিয়েছেন।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, আমার কাছ থেকে অনমতি নেয়নি তবে ডিসি এসপির কাছ থেকে অনুমতি এনেছেন। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমীন জানান, গ্রামীণ ঐতিহ্য মেলা, ঘোড়দৌড় ও নৌকা বাইচের অনুমতি দেয়া যায় কিন্তু লটারী বা জুয়ার অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন যদি মধুপুরে মেলার নামে জুয়া বা লটারী খেলা হয় তবে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।