রুপা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আরও চারজন সাক্ষ্য দিলেন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮ | ৪৫৪
ফাইল ছবি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী রুপা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় আজ সোমবার আরও চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

এ নিয়ে মোট নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। আগামীকাল আরও নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা রয়েছে। সোমবার রুপার ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার হওয়ার ঘটনার সাক্ষী লাল মিয়া, হাসমত আলী, ইমাম হোসেন ও রুপার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনের সাক্ষী মধুপুরের স্থানীয় সাংবাদিক এম এ রৌফ সাক্ষ্য দেন।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) একে এম নাছিমুল আক্তার বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পরে আসামিদের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন।

আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার আরও নয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। তাঁরা হলেন নিহত রুপার ভাই হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক, মধুপুরের স্থানীয় বাসিন্দা কিশোর, আব্দুল মান্নান, মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল বারেক, লিটন মিয়া, রুবেল মিয়া, হযরত আলী ও আমেনা খাতুন। গত বুধবার মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। গতকাল নেওয়া হয় চারজনের সাক্ষ্য। 

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে যান পরিবহন শ্রমিকেরা।

পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পরদিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন।

পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং চালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। এরই মধ্যে গ্রেপ্তার পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।