অভিজিৎ হত্যায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন

আলোকিতপ্রজন্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | ৪৯৫

২০১৫ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মামলাটিতে আরেক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জারিমানারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। 

মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন উগ্রপন্থি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, আসামিদের মধ্যে ফারাবী ছাড়া বাকি সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।

ছয় বছরের মাথায় দেশে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে ব্যাপক আলোচিত এ মামলাটির রায় হল। রায় ঘোষণা উপলক্ষে আদালত প্রাঙ্গণে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরে দুপুর ১২টার দিকে মামলাটির চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্য দুই আসামি জিয়া ও আকরাম এখনো পলাতক।

ঘটনার পর শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় (বর্তমানে প্রয়াত)। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হাত ঘুরে মামলাটির তদন্তভার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের হাতে যায়।

হত্যাকাণ্ডের চার বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। অভিযোগের পক্ষে ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ওই বছর ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার ছয় আসামির বিচার শুরুর আদেশ দেন।

অভিযোগপত্রে নাম থাকা রাষ্ট্রপক্ষের ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর কারাগারে থাকা চার আসামি গত ২৭ জানুয়ারি আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।

৩ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি গোলাম ছারোয়ার খান জাকির আসামিদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে যুক্তিতর্ক শেষ করেন। পরদিন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায়ের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করে দেন বিচারক।