টাঙ্গাইল হাসপাতালে এমএসআর সরবরাহের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ

র্স্টাফ রিপোটার
প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | ৫৮৪

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এমএসআর সরবরাহের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কয়েকজন এমএসআর ঠিকাদার সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিয়নায়তনে এ সম্মেলন করেন।

সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি ২০২০-২০২১ং অর্থ বৎসরে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এমএসআর সরবরাহের দরপত্র আহবান করা হয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের প্রতিষ্ঠান মেসার্স শামছুল হক ফামের্সী, মেসার্স লোটাস সার্জিক্যাল, মেসার্স প্রন্তিক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সাইদ ম্যাডিক্যাল, মেসার্স দীনা ফার্মেসীর নামে দরপত্র ক্রয় করে দরপত্রের শর্তাবলি অনুযায়ী সকল কাগজপত্রসহ বিগত ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর দরপত্র দাখিল করা হয়।

দরপত্র দাখিলের দুই মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাদের দর প্রস্তাব মূল্যায়ন না করে অনিয়মের মাধ্যমে উচ্চ দরদাতাদের দর প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে চুড়ান্তভাবে ঠিকাদার নিয়োগের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। এতে সরকারের কোটি টাকার উপরে গচ্চা দিতে হবে। পরে তারা অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়- কী কারণে তাদের সিডিউল বাতিল করা হয়েছে। কিন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবেদন গ্রহণ করেন না। আমরা পরে তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে জানতে চাই কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটিও গ্রহণ না করে আবেদনপত্র ফিরিয়ে দেন। পরে সবগুলো চিঠি ডাকযোগে রেজিষ্ট্রি করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ অস্বীকার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও টেন্ডার কমিটির সদস্য ডা.মো. শফিকুল ইসলাম সজীব বলেন, সম্পূর্ণ বৈধ প্রক্রিয়া আর বিধি মোতাবেক টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও সর্বনিম্ন দরদাতা পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেসার্স শামছুল হক ফার্মেসীর প্রোপ্রাইটর মো. আমিনুর রহমান শাহীন, মেসার্স সাইদ মেডিক্যাল হলের প্রোপ্রাইটর মো. আবু সাইদ চৌধুরী ও মেসার্স প্রান্তিক এন্টারপ্রাইজের পরিচালক আব্দুল্লাহ আলম মাসুদ।